আহমেদ ফরিদ, রাবি প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুই শিক্ষার্থী গত এক সপ্তাহ ‘নিখোঁজ’ থাকার পর তাদের সন্ধান পাওয়া গেছে। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্ন জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, ‘বনি ইসরাঈল এবং মারুফের কাজ ছিল ভর্তিচ্ছু ছাত্র সংগ্রহ এবং তাদের তথ্য চক্রের নেতা রকিবুল হাসান ইসামীকে সরবরাহ করা। এই চক্রের শীর্ষে থাকা পাবনা জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা রকিবুল হাসান ইসামীকে গত ১১ ডিসেম্বর গ্রেফতার করা হয়।’
গত ৭-৯ ডিসেম্বর রাজশাহী মেডিকেল এলাকা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী বনি আমিন ইসরাঈল (২৩) ও বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর এলাকা থেকে নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মারুফ হোসেন পাভেলকে (২৪) গ্রেফতার করা হয়। তারা দুইজনই চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও পরস্পর বন্ধু।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বনি আমিন ইসরাঈল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বক্স হলের ২৩৫ নম্বর কক্ষে থাকেন বলে জানান তার সহপাঠী মাসুদ রানা। তিনি বলেন, ‘গত শুক্রবার থেকে বনি হল থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। এখন পর্যন্ত তার কোন খোঁজ পাইনি।’ এদিকে মারুফ বিনোদপুর এলাকার একটি মেসে থাকতেন বলে জানান তার সহপাঠী রাতুল জোয়ারদার। তিনি বলেন, ‘৩-৪ দিন থেকে মারুফের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। বুধবার আমাদের খেলা ছিল, সেখানেও সে আসেনি। মারুফের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করতে পারছি না।’
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ঢাকার শাহাবাগ থানায় মামলাই ওই দুই শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে বলে শুনেছি। শুনেছি ওই দুজন ঢাবির প্রশ্ন ফাসেঁ জড়িত এবং তাদের নামে মামলা হয়েছে।’ আমি তখন রাজশাহীতে ছিলাম না। সহকারী প্রক্টর আমাকে বিষয়টি জানিয়েছিলো।
জানতে চাইলে মতিহার থানার ওসি মেহেদী হাসান বলেন, ‘সিআইডি একটি অভিযান চালিয়েছে বলে শুনেছি। এ বিষয়ে সিআইডি ভালো বলতে পারবে।’
এ বিষয়ে রাজশাহীর সিআইডি পরিদর্শক আসমাউল হক বলেন, ‘ঢাকার এক মামলায় সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ওই দুই শিক্ষার্থীতে গ্রেফতার করেছে বলে শুনেছি। ঢাকার সিআইডি অভিযান চালিয়ে তাদের গেস্খফতার করেছে।’