রাবি চারুকলা অনুষদের অধিকর্তার পদত্যাগ

প্রকাশঃ ২০১৭-১২-১০ - ২২:২৩

আহমেদ ফরিদ, রাবি প্রতিনিধি : পদত্যাগ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের অধিকর্তা অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান। বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বরাবর তিনি একটি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এম এ বারী।

অধ্যাপক এম এ বারী জানান, ব্যক্তিগত সমস্যা দেখিয়ে অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। বিশ^বিদ্যালয় উপাচার্য অনুমোদন না দেওয়া পর্যন্ত তিনি ওই পদে দায়িত্ব পালন করবেন।

এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭৪তম সিন্ডিকেট সভায় অধ্যাপক মোস্তাফিজুর এবং চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়। সভায় চারুকলা অনুষদের প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ‘সাম্প্রদায়িক’ প্রশ্ন প্রণয়নের অভিযোগে অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান ও সহকারী অধ্যাপক জিল্লুর রহমান ১০ বছরের জন্য যেকোন পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেয়া প্রশাসন। সেইসঙ্গে অধিকর্তার পদ থেকে অব্যাহতির জন্য যদি আইনগত বাধা না থাকে তাহলে অধিকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়া হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয় ওই সভায়। সিদ্ধান্তের চার দিনের মাথায় ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন অধ্যপক মোস্তাফিজুর রহমান।

গত ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত চারুকলা অনুষদের ‘আই’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার দুই নম্বর সেটের ৭৬ নম্বর প্রশ্নটি ছিল- ‘বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কোনটি? উত্তরের জন্য দেওয়া চারটি অপশন ছিল- (ক) পবিত্র কুরআন শরীফ (খ) পবিত্র বাইবেল (গ) পবিত্র ইঞ্জিল (ঘ) গীতা। গীতার আগে ‘পবিত্র’ ছিল না। একই সেটের ৪১ নম্বর প্রশ্নটি ছিল- ‘মুসলমান রোহিঙ্গাদের উপর মায়েনমারের সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা সশস্ত্র হামলা চালায় কত তারিখে?

পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর থেকে এ দুইটি ‘সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন’ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তবে এ ধরনের প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেছিলেন চারুকলা অনুষদের অধিকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান। এরপর গত ২৮ অক্টোবর উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহাকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য সেসময় নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

পদত্যাগের বিষয়টি জানতে অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।