আহমেদ ফরিদ, রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১১ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আহত হন। যাদের মধ্যে চারজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুল হামিদ হলের গেটের ভেতরে সভাপতি নাঈমুর রহমান নিবিড় ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মাহফুজুর রহমান অপুর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয় বলে জানা গেছে।
রুয়েট সূত্রে জানা যায়, আবদুল হামিদ হলে দীর্ঘ ধরে একক আধিপত্য কায়েম করে আসছে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তপুর অনুসারিরা। কিন্তু গত কয়েকদিন সভাপতি নিবিড়ের অনুসারিরা হলের কয়েকটি সিট দখলের চেষ্টা করে আসছে। কিন্তু এই বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি সাধারণ সম্পাদকের অনুসারিরা। মঙ্গলবার রাতে এ নিয়ে সভাপতির সমর্থকদের সঙ্গে সাধারণ সম্পাদকের সমর্থকদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হন। খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে রাতের তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। এদের মধ্যে চারজনকে ভর্তি করা হয় এবং বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আহতদের অধিকাংশই সভাপতির সমর্থক বলে জানা গেছে।
আহতদের মধ্যে রুয়েট ছাত্রলীগের সহসভাপতি বাপ্পি হোসেন, রিপন জামান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদি আহমেদ, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রাহাদুল ইসলাম রামেকের ৩১ নং ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। এ ব্যাপারে বুধবার বিকেল পর্যন্ত থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেননি বলে জানান মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী হাসান।
সভাপতি নাঈমুর রহমান বলেন, ‘সাধারণ সম্পাদকের অনুসারিরা আমার অনুসারি নেতাকর্মীদের এলোপাথারি মারপিট শুরু করে। তারা এখনো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তবে সাধারণ সম্পাদক তপু বলেন, ‘পুর্ব বিরোধের জের ধরে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে এ অপ্রতিকর ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে তিনি সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’