শিক্ষকদের ন্যায় সঙ্গত দাবির পাশাপাশি শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নে ভুমিকা রাখতে হবে – প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ

প্রকাশঃ ২০১৭-১২-০৯ - ২১:২৬

তাপস কুমার বিশ্বাস, ফুলতলা খুলনাঃ মৎস্যজীবিলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক ও মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শিক্ষকদের অগ্রণী ভুমিকা ছিল। কিন্তু বর্তমানে সেই ধারাবাহিকতা থেকে শিক্ষক সমাজ সরে এসেছে। শিক্ষার ক্ষেত্রে সরকার যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও তৃনমুল পর্যায়ে সেটি বাস্তবায়িত হচ্ছে না। যে কারণে শিক্ষার মান এখন নিম্নগামী। যার বাস্তব প্রমাণ হলো মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ভাল ফলাফল করলেও শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারছেনা। শিক্ষকদের উচিত প্রশ্ন প্রণয়নের যোগ্যতা অর্জন, নিয়মিত পাঠদান ও তথ্য প্রযুক্তির সমন্বয় সাধন করা। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্রিয়েটিভ পাওয়ার সৃষ্টি করতে হবে। শিক্ষকদের ন্যায় সঙ্গত দাবির পাশাপাশি শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নে ভুমিকা রাখতে হবে।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনার ফুলতলা বিপিজিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে অনুৃষ্ঠিত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ গাজী মারুফুল কবিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ আকরাম হোসেন, জেলা পরিষদ সদস্য সরদার আবু সালেহ, ওসি মোঃ আসাদুজ্জামান মুন্সী, সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ প্রফুল্ল কুমার চক্রবর্তী, আলহাজ্ব আনোয়ারুজ্জামান মোল্যা, আওয়ামীলীগ নেতা বিএম এ সালাম, সরদার শাহাবুদ্দিন জিপ্পী, মৃনাল হাজরা, ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ মোহাম্মদ ভুইয়া শিপলু। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন মোড়ল, এস এম এ হালিম, পীর মোহাম্মদ, মহাসিন আলী বিশ্বাস, ওলিয়ার রহমান প্রমুখ।

দ্বিতীয় পর্বে খুলনা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার সাহার পরিচালনায় সমিতির ত্রি-বার্ষিক সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মারুফ-মনিরা-বিমান-নৃপেন পরিষদ পূর্ণ প্যানেলে বিজয়ী হয়েছে। নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী সভাপতি পদে অধ্যক্ষ গাজী মারুফুল কবির (১৪৭) একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এস এম এ হালিম পেয়েছেন (৯৯) ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বিমান চন্দ্র নন্দী (১৪৬) এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিজয় কৃষ্ণ হালদার (৯৬)। প্যানেলের নির্বাচিত অন্যান্যে কর্মকর্তাবৃন্দরা হলেন সহ-সভাপতি মনিরা পারভীন, মোঃ গোলাম মোস্তফা, মোঃ আঃ হাই গাজী, শেখ দেলোয়ার হোসেন, আহসান হাবিব, যুগ্ন সম্পাদক খান এমরান আহম্মদ, শ্যামপদ মন্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন কুমার বৈরাগী, প্রকাশনা ও প্রচার সম্পাদক শেখ আবুল কালাম আজাদ, ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ আশরাফ হোসেন মিঞা, দপ্তর সম্পাদক নীলরতন মন্ডল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সেলিনা খাতুন, মহিলা সম্পাদিকা মমতাজ পারভীন, কোষাধ্যক্ষ নিরোদ কুমার মন্ডল, শিক্ষা-গবেষনা পাঠাগার সম্পাদক মোঃ টুকুরুল ইসলাম, সহ শিক্ষা-গবেষনা পাঠাগার সম্পাদক বিরেশ্বর বৈরাগী, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোঃ আলতাফ হোসেন, সহ- সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোঃ আজিজুর রহমান, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক পবিত্র বিশ্বাস কাজল, সহ- প্রকাশনা ও প্রচার সম্পাদক মোঃ মঈন উদ্দিন। এ ছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মোঃ আবজাল হোসেন, এস এম আশরাফ আলী, দেবদাস সরকার, মোঃ ইদ্রিস আলী গাজী, বিপ্লব মন্ডল, মোঃ শাহানুর আলম ও অসীম কুমার বিশ্বাস নির্বাচিত হন। উপজেলার ১৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২৫৩ শিক্ষক ভোটারের মধ্যে ১৫২ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। বেলা ৩টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়।