মেহেদী হাসান, ফুলবাড়ী দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ উত্তরের জেলা দিনাজপুর এ জেলায় প্রতি বছর মধ্য আশ্বিনের আগে ও কার্তিকের শুরুতেই টানা ঝড় বৃষ্টি হয় । এর মধ্য দিয়ে শুরু হয় শীতের আগমনী বার্তা। এবারও গত কয়েকদিন ধরে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে এই অঞ্চলে বাতাসের সাথে থেমে থেমে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে করে দ্রুত নেমে যাচ্ছে তাপমাত্রা। গত কয়েকদিন ধরে টানা হালকা ও ভারী বর্ষণের পর দিনাজপুর সহ উত্তরের কয়েকটি জেলায় শীত অনুভূত হতে শুরু করেছে কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা । কয়েকদিন থেকে দিনাজপুর জেলার মানুষ রাতে ফ্যান বাদ দিয়ে কম্বল-কাঁথা নেয়া শুরু করেছে। বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে জলবায়ু পরিবর্তন হলেও আশ্বিন-কার্তিক মাসে প্রতি বছরই বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। এর প্রভাবে সারাদেশেই কয়েকদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টি হয়। দেশের অন্যান্য জেলায় এই আবহাওয়ায় শীত অনুভূত না হলেও হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দিনাজপুর,পঞ্চগড়সহ রংপুর বিভাগের কয়েকটি জেলায় রাতে শীত অনুভূত হচ্ছে। সেই সাথে দিনভর রোদের কারনে একটু গরম লাগলেও রাতে হালকা থেকে মাঝারী কুয়াশা ঝরছে।সাকালে উঠে দেখা মিলছে বিভিন্ন লতা, পাতা,গাছে যেনো শিশিরের অলংকার পড়েছে । এ দিকে শীতের আগমনী বার্তায় কাজের জন্য নিজেদের তৈরী করে নিচ্ছেন ফুলবাড়ীর লেপ তৈরীর কারিগররা। ইতোমধ্যে কিছুর কারিগর লেপ তৈরীর কাজ শুরু করে দিয়েছেন। ফুলবাড়ী শহরের নিমতলা রোডের তুলার দোকানগুলোতে মানুষের আনাগোনা বাড়ছে। তুলা ব্যবসায়ী বাবু জানান, আশিন-কার্তিক মাসে ঝড় বৃষ্টি হয় এতে শীতের আবির্ভাব হয়। এরপর থেকেই ক্রমাগতভাবে শীত বাড়তে থাকে। তাই আগাম অনেকে লেপ তৈরী করে নিয়ে যাচ্ছেন। তারপরও উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন আগেভাগেই লেপ সেলাই করছেন। তবে শীত নিয়ে শংকায় রয়েছেন খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল শ্রেণীর লোকজন। লেপ তৈরী করার মতো অনেকের সামর্থ থাকলেও কারো কারো সামর্থ নেই। তাই শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে চট বা ছেড়া কাপড় দিয়ে পুরনো কাঁথা মেরামত করার চেষ্টাও করছেন তারা। আবার অনেকে চেয়ে আছেন শীতবস্ত্র পাওয়ার অপেক্ষায়। যদিও সবার ভাগ্যে তা জোটেনা।