ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ব্রাহিমপুর গ্রামের নিজ ভিটে থেকে সুশান্ত কুমার দাস নামে এক ব্যক্তিকে সপরিবারে উচ্ছেদ করা হয়েছে। শৈলকুপা উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবদার হোসেন মোল্লা ও ব্রাহিমপুর গ্রামের কুখ্যাত সন্ত্রাসী বাক্কার এই ঘটনার সাথে জড়িত। সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন সুশান্ত কুমার দাস। এ সময় সুশান্তর স্ত্রী বিজলী রাণী, পরিবারের সদস্য বুলু রানী, প্রদিপ কুমার, অজয় কুমার ও আকাশ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয় শৈলকুপার ১৩০ নং ব্রাহিমপুর মৌজায় ৩৩০ নং হাল দাগে তাদের ৪৪ শতক জমি আছে। সেই জমিতে তাদের পুর্ব পুরুষরা বসবাস করতেন। সেই সুত্রে জমির ওয়ারেশ প্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘদিন ভোগদখল ও ঘরবাড়ি তুলে বসবাস করছিলেন। কিন্তু ব্রাহিমপুর গ্রামের তোফাজ্জেল মোল্লার ছেলে ভুমিদস্যু বাক্কার অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে ও ৮০টি মেহগনি গাছ কেটে দিয়ে পৈত্রিক ভিটে দখল করে নেয়।
বিষয়টি নিয়ে তারা স্থানীয় উমেদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা সাবদার হোসেন মোল্লার কাছে বিচার দিলে তিনি একটি সাদা কাগজে সাক্ষর নিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলেন। সেই থেকে আমরা রাতের অন্ধকারে নাবালক তিনটি সন্তান নিয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে ঝিনাইদহ শহরে এসে উঠেছি। সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়, ভিটে বেদখল হওয়ার পর আমরা কত জায়গায় বিচার নিয়ে গিয়েছি। কেও আমাদের সুবিচার করেনি। শৈলকুপা থানা পুলিশের দারাস্থ হতে গেলে সেখানেও ভয়ভীতি দেখিয়ে বারণ করা হয়েছে। সুশান্ত ও তার স্ত্রী বিজলী রানী তাদের পৈত্রিক ভিটা ফিরে পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।