ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপায় শাহানাজ খাতুন (২২) নামে এক গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নের বকশিপুর গ্রামে। জানা গেছে, ঝিনাইদহের সদর উপজেলার কুমড়াবাড়ীয়া ইউনিয়নের ডেফলবাড়ীয়া গ্রামের হাফিজুর রহমানের মেয়ে শাহানাজের সাথে চার বছর আগে শৈলকুপা উপজেলার বকশিপুর গ্রামের কুসুম শেখের ছেলে সুজনের বিবাহ হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের আড়াই বছরের একটি সন্তান রয়েছে। কিন্ত সংসার জীবনে তাদের ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো। কারনে অকারণে স্বামী সুজন ও দেবর মিল্টন প্রায়শই শাহানাজ কে মারধর করতো।
শুক্রবার রাতেও শাহানাজকে মারধর করে দেবর মিল্টন। এরপর শনিবার সকালে নিজঘর থেকে শাহানাজ কে উড়না দিয়ে পেচানো ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শ্বশুরালয়ের নির্মম নির্যাতন ও পিটিয়ে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে । তবে শশুরবাড়ীর লোকজনের দাবি শাহানাজ আত্মহত্যা করেছে। এদিকে খবর পেয়ে শাহনাজের পরিবারের লোকজন দেখতে এসে হত্যার অভিযোগ তুললে শনিবার দুপুরে তাদের উপরও হামলা চালানো হয়। আহত হয় ৪জন, তাদের কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । এদের মধ্যে ফারুকের অবস্থা আশংক্ষাজনক বলে জানিয়েছে কর্তব্যরত ডাক্তার।
নিহত শাহানাজের বাবা হাফিজুর রহমান জানান, তার মেয়ে কে শুক্রবার রাতে পিটিয়ে হত্যা করে গলায় ফাস দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে ছিলো শুশুরবাড়ীর লোকজন। তিনি আরো জানান, খবর পেয়ে তারা দেখতে আসলে শাহানাজের স্বামী সুজন ও দেবর মিল্টনসহ বেশ কয়েকজন তাদের উপর হামলা চালায়। এসময় শাহানাজের ফুফাতো ভাই ফারুক,বোন তাসলিমা,রেকছনাসহ ৪জন আহত হয়। আহতদের শৈলকুপা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাটফাজিলপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ নিমাইচন্দ্র জানান, নিহত শাহানাজের পায়ে ও মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে পোষ্ট মর্টেম রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্তসবলা যাচ্ছে না এটা হত্যা না আত্মহত্যা। শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম জানান সেখানে হামলার কথা শুনে পুলিশ পাঠানো হয়। নিহতের লাশ উদ্ধার করে পোষ্ট মর্টেমের জন্য পাঠানো হয়েছে।