সন্ত্রাসী বাহিনী থেকে রক্ষা পেতে যশোরে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন

প্রকাশঃ ২০১৮-০২-০১ - ২১:০৩

যশোর অফিস : বাঘারপাড়া উপজেলা মানবতাবিরোধী অপরাধে গ্রেফতার হওয়া আমজাদ মোল্লার বিরুদ্ধে সাক্ষী দেওয়া, পুলিশের তান্ডর ও মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে বৃহস্পতিবার প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছে শহীদ পরিবারের সদস্যরাসহ এলাকাবাসী।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠন করেন আলাউদ্দিন বিশ্বাস। সংবাদ সম্মেলনে রাজাকার আমজাদের বিরুদ্ধে দেয়া সকল স্বাক্ষী এবং শহীদ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে তারা একই দাবিতে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এবং মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তরিকুল আনোয়ার টুটুল ওরফে টুটুল মন্ডল, আলম মোল্লা, টাক জাহিদ, মানিক, তোরাব মোল্লা, জুলফিকার, সবুর গং মামলার বাদী এহিয়ার মোল্লার দোকান ভাংচুর করে সেই একই বাহিনী জহিরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়। পরে ৩০ জানুয়ারি গভীর রাতে পুলিশের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নেতৃত্বে এবং স্থানীয় খাজুরার ফাঁড়ির ইনচার্জ মাসুদ ও টুআইসি শরিফুলের সহযোগিতায় আমজাদ রাজাকারের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার সাক্ষী এহিয়ার মোল্যা, তার ভাগ্নে ফজের মোল্যা, ভাইপো আইয়ুব হোসেন, মাহাবুর রহমান, মফিজুর রহমান, মুস্তাক হোসেন, নিজাম মোল্যা, রেজাউল, মান্নান মোল্যা, সিদ্দিক হোসেনসহ আরো ৪/৫ জনের বসতবাড়িতে হামলা করে বসত ঘর, ঘরের আসবাবপত্র, রান্নাঘরে ভাংচুর চালায়।

এই বাহিনী যুদ্ধাপরাধ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক খানের তদন্তে বাঁধা প্রদান ছাড়াও তার গাড়িতে হামলার চেষ্টা করে। ফলে আব্দুর রাজ্জাক খান নিজে বাদী হয়ে মামলা পর্যন্ত করেন এবং ওই মামলায় পুলিশ ইতিমধ্যে চার্জশিট প্রদান করেছে।

ওই ঘটনায় সন্ত্রাসী বাহিনীর একটি সাজানো মামলায় যুদ্ধাপরাধ মামলার স্বাক্ষী এহিয়র মোল্লাকে আসামি করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে পুলিশ এবং সন্ত্রাসী উভয়ের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এমতাবস্থায় এহিয়ার মোল্লাসহ যুদ্ধাপরাধ মামলায় আমজাদ রাজাকারের বিরুদ্ধে দেয়া সকল স্বাক্ষী এবং তাদের পরিবার পরিজন তাদের নিরাপত্তায় যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল তথা রাষ্ট্রের উর্ধ্বতনদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত গ্রামবাসীরা বলেন, আমজাদ রাজাকারের যুদ্ধাপরাধ মামলায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নেয়ায় বাঘারপাড়ায় একের পর এক হামলা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলার শিকার হচ্ছেন শহীদ পরিবারের সন্তান এবং তাদের পক্ষীয়রা।