সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছেনা মোংলার প্রধান বাজারে

প্রকাশঃ ২০২০-০৪-১২ - ০০:৩৩

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বজার রাখার নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হচ্ছেনা মোংলায়। মুদি, কাঁচা, মাছ ও মাংস বাজারে প্রতিনিয়ত গাঁ ঘেষে চলছে কেনাকাটা ও চলাফেরা। সামাজিক দূরত্ব বজায় নেই স্বাভাবিক চলাচল ও যানবাহনের ক্ষেত্রেও। বাজারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে না পারায় তা অস্থায়ীভাবে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে খোলামেলা বড় জায়গা হেলিপ্যাড মাঠে। এছাড়া সামাজিক দূরত্ব মানার জন্য প্রশাসনের প্রচারণা চালানো হচ্ছে জোরেশোরে।
মোংলা বন্দর ও পৌর শহর। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের একমাত্র প্রধান এ বাজারটি ৫ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত। সাধারণত ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকে এ বাজার। তবে করোনার কারণে বিধি নিষেধ আরোপ হওয়াতে সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকছে বাজারটি। বাজারে সবচেয়ে ভিড় হয়েছে থাকে সকাল ৯টা থেকে ১২ পর্যন্ত। এ সময় কয়েক হাজার নারী-পুরুষ একসাথে জড়ো হয় এ বাজারে। যেখানে মানা হচ্ছেনা সামাজিক দূরত্ব। ৩ মিটার দূরত্ব তো দূরে থাক একেবারে গাঁ ঘেষেই চলাচল করছে সকলে। আবার অনেকের মুখে নেই মাস্কও। এ বাজারের লোক সমাগম দেখে মনেই হয়না যে দেশজুড়ে করোনা মহামারী চলছে। ক্রেতারা তো রয়েছেনই, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোন দায়ই যেন নেই বিক্রেতাদের। দোকানীদের পক্ষ থেকে বাজার জুড়ে কোথাও নেই দূরত্ব বজায় রাখার বৃত্ত ও নিশানা। শহরে আইনশৃঙ্খলরক্ষাকারী বাহিনীর টহল থাকলেও নজরদারী নেই বাজারের উপর। তাই বাজারে নিয়ন্ত্রণহীন ক্রেতা-বিক্রেতারা। ফলে বাজার থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশংকা রয়েই গেছে।
স্থানীয়দের কেউ কেউ বলছেন, বাজার নির্দিষ্ট সময়ের জন্য উম্মুক্ত রেখে বাকী সময় বন্ধ রাখা প্রয়োজন। কারো দাবী, প্রশাসনের নজরদারীর আরো বাড়ানোর দরকার। আবার কেউ বলছেন, বাজারে একসাথে এতই লোকসমাগম ঘটছে, যা দেখলে মনে হচ্ছে কাল যেন ঈদ।
বাজারে আগতদের সামাজিক দূরত্ব বজায় না থাকার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রাহাত মান্নান বলেন, বাজারটি সরিয়ে নিয়ে অস্থায়ীভাবে হেলিপ্যাড মাঠে বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শীঘ্রই বাজার স্থানান্তরর করা হবে। অচলাবস্থা শেষ না হওয়া পর্যন্ত হেলিপ্যাড মাঠেই বসবে মাছ, মাংস ও কাঁচা বাজার। আশা করছি সেখানে শতভাগ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।