সিনিয়র নার্স শিলা দাস ও তার কাজের বুয়ার বাড়ি লকডাউন থেকে মুক্ত

প্রকাশঃ ২০২০-০৫-০২ - ১৫:০৭

খুলনা অফিস : খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহযোগিতায় করণা যোদ্ধা সিনিয়র নার্স শিলা দাস ও তার কাজের বুয়ার বাড়ি স্থানীয়দের জোর করে দেওয়া লকডাউন থেকে মুক্ত।।। প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য তুলে দেওয়া হল তার মেডিকেল পড়ুয়া মেয়ের হাতে। অনাহারে মানবেতার জীবন যাপন করছিল সিনিয়র নার্স শিলা দাসের মেয়ে ও তার গৃহকর্মীর পরিবার।
মেডিকেল পড়ুয়া মেয়ে এলাকার মানুষের জোর করে দেওয়া লকডাউন এ ঘর বন্দীতে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছিল।কেউ কোথা থেকে খাবারের সহযোগিতা তো করে নাই, এমনকি তার কাজের বুয়ার পরিবার ও অনাহারে অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছিল। এদিকে তার বাসা ও তার কাজের বুয়ার বাসা লকডাউন এর বিষয়ে জানে না খুলনা জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট 18 নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান মনি। দাবি করছে, লকডাউন করলে থানা পুলিশ করেছে। আমি বিষয়ে জানিনা। জানেনা কোন মিডিয়াকর্মী বা স্থানীয় সোনাডাঙ্গা থানা প্রশাসন। সূত্র মতে সিনিয়র নার্স শিলা দাসের ফেইসবুক এ স্ট্যাটাস দেখে খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক জয়নাল ফরাজীর বিশেষ কর্মতৎপরতা খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন কে অভিভূত করে। সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি অন্যান্য সিনিয়র সাংবাদিকদের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখে বিশেষ হস্তক্ষেপে সহায়তার জন্য ভূমিকা নিয়ে অসহায়দের পাশে দাঁড়ায় এবং ১লা মে আজ সকাল ১১টা খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সভাপতি মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেয়ামূল হক কচি, এস এম কামাল ও সুনীল দাস কে সঙ্গে নিয়ে খাদ্যদ্রব্য তুলে দেন ইউনিয়নের সভাপতি মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, বিভাগীয় নার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শিলা দাসের মেয়ের হাতে। শিলা দাসের যে স্ট্যাটাস দেখে এতকিছু সেই স্ট্যাটাসে দেখা যায় আমি কি তবে অনাহারে মারা যাবো? সেবিকা হিসাবে করণা রোগীদের সেবা দেওয়াটা কি আমার অপরাধ? আমি সুস্থ হয়ে সেবিকা রূপে আবার আপনাদের মাঝে আসতে চাই। আমি খুলনা আবহাওয়া সেন্টার থেকে গত ৪এপ্রিল থেকে করো না হসপিটালে ডিউটি করি । 28 এপ্রিল আমার করো না শনাক্ত হয়। তখন থেকে আমি করনা হসপিটালে ভর্তি। এদিকে এলাকার কমিশনারের কিছু চামচা আমার বাড়ি ও আমার কাজের বুয়ার বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে। বাড়িতে আমার মেডিকেল পড়ুয়া মেয়ে একা থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় অনাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছে। আমি নিরামিষভোজী হওয়ায় আমি ও আমার মেয়ে অনাহারে অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছি। আমার কাজের বুয়ার পরিবারের ও একই অবস্থা ছিল। কোন উপায়ান্তর না দেখে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দি সহযোগিতা পাওয়ার জন্য। এর ই সূত্র ধরে খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের বিশেষ ভূমিকায় অবশেষে ১লা মে খুলনা সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে স্থানীয়দের জোর করে দেওয়া লকডাউন থেকে মুক্ত হলো সিনিয়র নার্স শিলা দাস এবং তার গৃহকর্মীর পরিবার। ব্যাপারে শিলা দাসের সাথে কথা বললে তিনি জানান আজ খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন আমার পাশে দাঁড়িয়েছে বলে আমি ও আমার মেয়ে এবং আমার কাজের বুয়ার পরিবার অনাহার ও মানবেতার জীবন যাপনের হাত থেকে মুক্তি পেল। খাদ্যদ্রব্য পেল এবং স্থানীয়দের দেওয়া জোর করে লকডাউন থেকে মুক্তি পেল। ভবিষ্যতে যেন কোন এলাকায় স্থানীয়দের মনগড়াভাবে কোন পরিবারকে জোর করে লকডাউন করতে না পারে এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ বিশেষভাবে কামনা করেন।