সুন্দরবনে ‘বাটাগুর বাস্কা’র ডিম থেকে ৩৪টি বাচ্চা ফুটেছে

প্রকাশঃ ২০২০-০৫-১৩ - ১৯:৪৩

আবু হোসাইন সুমন, মোংলা (বাগেরহাট) : পূর্ব সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে এবার ‘বাটাগুর বাস্কা’র ডিম থেকে ৩৪টি বাচ্চা ফুটেছে। বুধবার সকালে বনের করমজলের কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্রে ডিম থেকে বাচ্চাগুলো ফুটতে শুরু করে। এ সময় একে একে ফুটে বের হয় ৩৪টি বাচ্চা। নষ্ট হয়েছে একটি ডিম।
করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মো: আজাদ কবির জানান, গত ১০ মার্চ প্রজনন কেন্দ্রের একটি কচ্ছপ ৩৫টি ডিম দেয়। এরপর ডিমগুলো সংগ্রহ করে রাখা হয় কেন্দ্রের বালুর তৈরি ‘ইনকিউভিশনে” (নির্দিষ্ট তাপমাত্রা ও আদ্রতা পূর্ণ জায়গা)। সেখানে দীর্ঘ ৬৫ দিন থাকার পর বুধবার সকালে ওই ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বের হয়। এ বছর প্রথম দফায় ৩৫টি ডিমের মধ্যদিয়ে ৩৪টি হতে বাচ্চা ফুটেছে। এছাড়া এ বছরেরই গত ২৭ মার্চ অপর আরেকটি কচ্ছপ ২১টি ডিম দিয়েছে, সেগুলো থেকে আগামী ২৭/২৮মে বাচ্চা ফুটে বের হওয়ার কথা রয়েছে।
তিনি আরো জানান, এর আগে ২০১৯ সালে একটি কচ্ছপের দেয়া ৩২টি ডিম হতে বাচ্চা হয় ৩২টি। ২০১৮ সালে দুইটি কচ্ছপ যথাক্রমে ২৬টি ও ২০টি ডিম দেয়, তা থেকে যথাক্রমে ৫টি ও ১৬টি বাচ্চা পাওয়া যায়। ২০১৭ সালে দুইটি কচ্ছপ যথাক্রমে ৩১ ও ৩২টি ডিম দেয়, তা থেকে যথাক্রমে ২৮টি ও ২৯টি বাচ্চা হয়।
বর্তমানে কচ্ছপ প্রজনন প্রকল্পে ছোট বড় মিলিয়ে ২শ ৫২টি কচ্ছপ রয়েছে। ২০১৪ সালে ৪টি প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ ও নারী কচ্ছপ দিয়েই এ প্রকল্পের প্রজনন কার্যক্রম চালু হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে প্রথম এ ‘বাটাগুর বাস্কা’র প্রকল্প চালু করা হয়। মুলত বিলুপ্ত প্রায় এ বাটাগুর বাস্কা প্রজাতির কচ্ছপের প্রজনন বৃদ্ধিসহ প্রাণীটির বিচরণক্ষেত্র, খাদ্যাভাস ছাড়া বেশ কয়েকটি বিষয়ে গবেষণার জন্যই বনবিভাগ, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন, টার্টেল সার্ভাইবাল এ্যালাইন্স ও ভিয়েনা জু এ প্রকল্প চালু করে।