সুন্দরবন দূষণের প্রতিবাদে মোংলায় মানববন্ধন

প্রকাশঃ ২০২৩-০৩-২২ - ১১:৩৩

মোংলা প্রতিনিধি : ‘প্রভাবশালী মহলের অবৈধ ব্যবসা আর শিল্পকারখানার দূষণে ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবন। বিষ প্রয়োগে মৎস্য ও নির্বিচারে বৃক্ষনিধন, পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড, বন্যপ্রাণী হত্যা, প্লাস্টিক দূষণে বিপর্যস্ত সুন্দরবন। তাই বাংলাদেশের ফুসফুস বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন রক্ষায় সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে।’

‘করব বন সংরক্ষণ, সুস্থ থাকব সারাক্ষণ’ স্লোগানে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় আন্তর্জাতিক বন দিবস উপলক্ষে সুন্দরবনের ঢাংমারিতে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার এবং ঢাংমারি ডলফিন সংরক্ষণ দলের আয়োজনে বনজীবীদের অংশগ্রহণে মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পশুর নদে কলকারখানার বর্জ্য ও জাহাজি বর্জ্য নিক্ষেপ, কয়লা এবং তেলবাহী জাহাজডুবির মধ্য দিয়েও সুন্দরবনের প্রাণবৈচিত্র্য হুমকিতে রয়েছে।

মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) কেন্দ্রীয় নেতা পশুর রিভার ওয়াটারকিপার নূর আলম শেখ। এ সময় বক্তব্য দেন বাপা নেতা ঢাংমারি ডলফিন সংরক্ষণ দলের টিম লিডার ইস্রাফিল বয়াতি, বাপা নেতা শেখ রাসেল, বাপা নেতা হাছিব সরদার, বনজীবী স্টিফেন হালদার, বনজীবী বেল্লাল বেপারী, বনজীবী সাথী আদিত্য, মধুসূদন মন্ডল, বনজীবী লিপি বেগম, বনজীবী কল্পনা সরদার, বনজীবী তরুন মন্ডল, বনজীবী লিপি বেগম, বনজীবী তপন মন্ডল প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, সুন্দরবন ও সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদী প্লাস্টিকে সয়লাব হয়ে গেছে। গবেষণায় সুন্দরবনের মাছে ক্ষতিকর মাইক্রো প্লাস্টিকের কণাও পাওয়া গেছে। গত ২০ বছরে ২৪ বার অগ্নিকাণ্ডে ৭১ একর বনভূমি পুড়ে গেছে। বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী মহল ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রয়োজনে এসব পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড ঘটায়।

সুন্দরবন রক্ষায় জনসচেতনতা তৈরির পাশাপাশি বন রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তরগুলো যদি দায়িত্ব পালনে সততা-নিষ্ঠা-দায়িত্বশীলতার পরিচয় না দেয় এবং তাঁরা প্রকৃতিপ্রেমিক না হয়, তাহলে অচিরেই সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে। মানববন্ধনে বক্তারা সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকা থেকে বনবিনাশী প্রকল্প বাতিল করে পরিবেশবান্ধব টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।