সৌদি আরবে নিহত বাংলাদেশিদের একজনের বাড়ি যশোরে

প্রকাশঃ ২০২৩-০৩-৩০ - ১৩:০৮

যশোর প্রতিনিধি : সৌদিআরবে ওমরাহ করতে যাওয়ার সময় বাস দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশিদের মধ্যে একজনের বাড়ি যশোর সদরের বসুন্দিয়া ঘুণি মাঠপাড়া গ্রামে। তার নাম নজরুল ইসলাম ওরফে নাজমুল হোসেন (২৮)। ওই দুর্ঘটনায় তাদেরই জ্ঞাতি মাদারীপুরের দিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা ইছাহক মাতব্বরের ছেলে রুহুল আমিন ওরফে রনি (৩২) নিহত এবং যশোর সদরের ঘুণি শাখারিপাড়া এলাকার কাজী আনোয়ার হোসেনের ছেলে মোশাররফ হোসেন (৩২) এবং ঘুণি মাঠপাড়া এলাকার গফফার মোল্যার ছেলে রাসেল মোল্যা ওরফে সুমন (২৮) আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে মোশাররফের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে তার স্বজনরা জানিয়েছেন। গত সোমবার সন্ধ্যায় সৌদি আরবের আসির প্রদেশে বাসটি খাদে পড়ে আগুন ধরে ২৪ জন নিহত হন।

নিহত নজরুল ইসলাম ওরফে নাজমুল হোসেনের বড়ভাই কামরুল হোসেন বলেন, এক বছর ২৬ দিন আগে তার ছোটভাই নাজমুল সৌদিআরব যায়। সৌদিআরবের আভা খামিজ নামে একটি এলাকায় সে একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করতো। গত সোমবার (২৭ মার্চ) রোজার মাসের বিশেষ ছুটিতে নাজমুলসহ আমার দূরসম্পর্কের ভাগ্নে রনি, মোশাররফ, সুমনসহ ৪৭ জন একটি বাসে ওমরাহের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে দুর্ঘটনায় নাজমুল ও রনি মারা যায়, আহত হয় অপর দুই ভাগ্নে আমাদেরই এলাকার মোশাররফ ও সুমন।

সুমনের মা হাসিনা বেগম বলেন, আজ ভোরেও ফোনে কথা হয়েছে ছেলের সঙ্গে। দুর্ঘটনায় তারা সারা শরীর কেটে ও পুড়ে গেছে। হাসপাতাল থেকে সে এখন বাসায় রয়েছে। তবে, মোশাররফের অবস্থা বেশি একটা ভাল নয়। সে বর্তমানে আইসিইউতে রয়েছে। তার সঙ্গে পরিবারের কেউই কথা বলতে পারেনি।

মরদেহ দেশে ফেরত আনার বিষয়ে নিহত নাজমুলের বড়ভাই কামরুল হোসেন ও মাদারীপুরের রুহুল আমিন ওরফে রনির বড়ভাই রফিকুল ইসলাম বলেন, সেখানে তাদের আরও আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা রয়েছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে আজ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তাদের সৌদিতে কবরস্থ করা হবে নাকি দেশে আনবো। তবে, আমরা চেষ্টা করবো দেশে আনার।

জানতে চাইলে যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান বলেন, নিহতের স্বজনদের প্রতি আমাদের সমবেদনা। তারা যদি আমাদের কাছে কোনও সহযোগিতা চান, আমরা তা পূরণে চেষ্টা করবো।