স্বামী ও সন্তানের স্বীকৃতি পেতে স্বামীর বাড়িতে অবস্থান

প্রকাশঃ ২০১৮-০১-১৫ - ২০:০১

সুব্র ঢালী, রামপাল (বাগেরহাট) :  তহমিনা আক্তার ১ বছরের কন্যা সন্তান জান্নতুল ফেরদৌস তারিনাকে নিয়ে ফেনীর সোনাগাজী উজেলার বগাদানা গ্রাম থেকে রামপালের গিলাতলা গ্রামে হিন্দু স্বামী রাখাল চন্দ্র পাল অরফে রিপন খাঁনের বাড়িতে স্বামীর অধিকার ও কন্যা সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে অবস্থান নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এঘটনায় এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে,  গিলাতলা গ্রামের বিমল কৃষ্ণ পালের পুত্র রাখাল চন্দ্র পাল (৩১) ঢাকা মিরপুরের রিও ফ্যাশান ওয়্যার লিঃ এ কাজ করার সুবাদে পরিচয় হয় । ফেনী জেলার সোনাগাজী উজেলার বগাদানা গ্রামের এনায়েত উল্লাহ এর কন্যা তহমিনা আক্তার (২৭) এর সাথে। ভুক্তভোগী তহমিনা আক্তার জানায়, পরিচিত যুবক নিজেকে রিপন খাঁন নামে পরিচয় দিয়ে সখ্যতা গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে কৌশলে তাকে ২০১৪ সালের ১০ই মার্চ লোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করে। তাদের সংসারে  জান্নতুল ফেরদৌস তারিনা  নামের একটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে যার বয়স এখন ১বছর। তার স্বামী রাখাল পাল ওরফে রিপন খাঁন বিভিন্ন অজুহাতে তার কাছে গচ্ছিত থাকা প্রায় ৫/৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর ওই প্রতারক রাখাল পাল গ্রামের বাড়িতে আসার কথা বলে স্ত্রী ও সন্তান রেখে নিরুদ্দেশ হয়। এ ঘটনায় তার স্ত্রী ঢাকার পল্লবী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে। বহু খোজাখুজি করে না পেয়ে গৃহবধু তহমিনা রামপালের ওই ঠিকানায় এসে স্থাণীয় লোকজনদের তাদের বিয়ের একটি ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে ঠিকানা জানতে চায়। স্থাণীয় লোকজন ওই ছবি দেখে এ রিপন খাঁন নয় রাখাল চন্দ্র পাল বলে চিহ্নিত করেন। ঘটনার আকস্মিকতায় ওই গৃহবধু সন্তানকে নিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। পরে রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মোঃ আবু সাইদ বিষয়টি সুরহা করার জন্য রাখাল চন্দ্র পালের পরিবারের সাথে কথা বলেন। রাখাল পালের মাতা গীতা রানী পাল জানান, আমার ছেলে পূর্বে কোন বিবাহ করেনি, কয়েক দিন পূর্বে আমরা তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ দিয়েছি, রাখাল বর্তমানে কোথায় আছে আমরা জানি না। তিনি তহমিনা ও তার কোলের শিশু বাচ্ছাকে পুত্রবধুর স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেন। ওই গৃহবধু কান্নাজড়িত কন্ঠে জানায়, আমি স্বামীর সংসার ও সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের স্বীকৃতি পেতে চাই। আমার সাথে প্রতারণা করে আমার গচ্ছিত টাকা ও স্বর্ণালংকার আত্মসাৎ করেছে এবং হিন্দু নাম পরিচয় গোপন রেখে মুসলমান পরিচয়ে বিবাহ করেছে, এ জন্য সে বিচার চেয়ে প্রশাসনসহ সকলের সহযোগীতা কামনা করে। এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মোঃ আবু সাইদের সাথে কথা হলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, রাখাল পাল তার জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে রিপন খাঁন নাম ধারণ করে একজন মুসলিম মেয়েকে প্রতারনার মাধ্যমে বিবাহ করেছে যা গুরতর এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার সামিল এবং এর সঠিক বিচার হওয়া উচিৎ।