সাতক্ষীরা জেলা মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর/ বিজয় কুমারের শেল্টারে চলছে রমরমা মাদক ব্যবসা

প্রকাশঃ ২০২৫-০২-০৭ - ১৭:১৬

বিশেষ প্রতিনিধি: বিজয় কুমার মজুমদারের ভাগ্য বদলে দিয়েছে মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের এক চাকুরী। এক সাতক্ষীরা জেলাতেই রয়েছেন প্রায় আট বছর। নামে—বেনামে গড়েছেন অঢেল সম্পত্তি। মাদকের আলামত বিক্রয় এবং মাদক ব্যবসায়ীদের তথ্য দিয়ে অর্থ উপার্জন করেন বিজয় কুমার মজুমদার। শুধু তিনি একা নন। তার শেল্টার দাতা সাতক্ষীরা জেলা মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সাবেক উপপরিচালক শেখ মো. হাশেম আলী। শেখ মো. হাশেম আলী বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতা হওয়ায় তাকে অন্যত্র বদলী করা হলেও রয়ে গেছেন বিজয় কুমার মজুমদার। হাশেম আলী ও বিজয় কুমার মজুমদার এখনো মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টার এবং কমিশন বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন বলে রয়েছে একাধিক অভিযোগ।
সাতক্ষীরা জেলা মাদক নিয়ন্ত্রন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিজয় কুমার মজুমদার ২০১৬ সাল থেকে সাতক্ষীরা জেলা মাদক নিয়ন্ত্রন কার্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন। অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও হয়েছে। অন্যদিকে, উপপরিচালক শেখ মো.হাশে আলী ফরিদপুর জেলায় বদলী হয়েছেন।


অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিজয় কুমার মজুমদারের সরাসরি শেল্টারদাতা সাতক্ষীরা জেলা মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সাবেক উপপরিচালক শেখ মো. হাশেম আলী। হাশেম আলী দীর্ঘ প্রায় সাত বছর সাতক্ষীরায় চাকুরী করেছেন। দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় হাশেম আলী অন্যত্র বদলী হলেও তার সিন্ডিকেট পরিচালনা করছেন বিজয় কুমার মজুমদার। সাতক্ষীরা বর্ডার এলাকা হওয়াতে মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ব বেশী। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হাশেম আলী এবং বিজয় কুমার নিজেরাই একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। এই সিন্ডিকেট অভিযানে জব্দ করা মাদকদ্রব্যের একটি বড় অংশ চুরি করে বিক্রয় করে। ফিল্ড পর্যায়ে এ আলামত বিক্রয়ের দায়িত্ব বিজয় কুমারের থাকলেও পুরো নির্দেশনায় থাকতেন হাশেম আলী। তবে বিষয়টি অন্যান্য কর্মকর্তা—কর্মচারীরা জানলেও নির্বাক হয়ে থাকতে হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, হাশেম আলী সাহেব এবং বিজয় কুমার সাহেব হলো পয়সার এপিট—ওপিট। তারা শুধু মাদক ব্যবসায় শেল্টার না, বিভিন্ন কৌশলে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তাদের এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বললে শোকজ খেতে হবে। অন্যত্র বদলী হতে হবে। তারা মানষিকভাবে অফিসের কর্মরত অন্যান্যদের উন্মাদ করেছে। হাশেম সাহেব ফরিদপুর বদলী হলেও সপ্তাহে দু—তিনদিন সাতক্ষীরা অফিসে এসে তার পুরাতন কাজ সারেন।
খবর বলছে, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের সামনে পলাশপোলে বিজয় কুমার মজুমদার তার আত্মীয়ের মেডিকেল ষ্টোরে নিয়মিত যান। সেখান থেকেই অভিযানের আলামত বিক্রয় করেন। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক অফিসের পাশে কোটি টাকার জমি ক্রয় করেছেন বিজয় কুমার মজুমদার।
এ বিষয়ে জানতে বিজয় কুমার মজুমদারের মুঠোফোনে কল দিলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে শেখ মো. হাশেম আলীর মুঠোফোনে কল দিলে তাকে পাওয়া যায়নি।