নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : আর মাত্র ৩ দিন পরই শুরু হতে যাচ্ছে বাঙালির প্রাণের উৎসব ‘পহেলা বৈশাখ’। পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে ইলিশের দাম চড়া। বড় আকারের ১ কেজি ওজনের একটি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২০০০ টাকায়।
বৈশাখে পান্তা-ইলিশ খাওয়ার রেওয়াজ বহু বছর আগে থেকেই চলে আসছে বাংলায়। এই রেওয়াজ মিশে আছে বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যের সাথে। পান্তা-ইলিশ আমাদের সংস্কৃতিরই একটা অংশ। সারা বছর মানুষ রকমারি খাবার খেতে পছন্দ করলেও বৈশাখের দিনে বাঙালির প্রত্যাশা থাকে পান্তা ইলিশ।
নগরীর প্রধান বাজার দিগুবাবুর বাজারে ইলিশের দাম ঊর্ধ্বগতিতে। বড় আকারের ১ কেজি ওজনের মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০০টাকায়, ৯০০ গ্রাম ১৫০০ টাকায়, ৭০০ গ্রামের মাঝারি আকারের মাছ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায় আর ছোট আকারের মাছের দাম ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়৷ ইলিশ দাম বেশি হওয়ার কারনে অসন্তুষ্ট ক্রেতারা। অনেক ক্রেতাকেই ইলিশ কিনতে এসে চলে যেতে দেখা গেছে। কারণ জানতে চাইলে তারা জানান, ইলিশের দাম অনেক বেশি। এতো দামে কেনা সম্ভব না।
ক্রেতারা বলছেন, বৈশাখ আসলেই বাড়ে ইলিশের দাম। বিক্রেতারা নানান অজুহাত দেখায়, পর্যাপ্ত মাছ থাকার পরও ওরা দাম রাখে বেশি।
অন্যদিকে মাছ বিক্রেতারা বলছেন আড়তদারেরা বেশি দামে মাছ বিক্রি করছেন বলে আমাদেরও বেশি রাখতে হচ্ছে। এছাড়া বৈশাখ আসলে দাম তো একটু বাড়েই। দাম আরো সম্ভবনা রয়েছে বলেও জানান মাছ বিক্রেতারা।
মাছ বিক্রেতা মঙ্গল বাবু বলেন, বৈশাখ উপলক্ষেই দাম বেশি। হালিতে ১০০০ টাকা বেশি। আমরা দাম বাড়াই না, যারা সাপ্লাই দেয় তারা দাম বাড়াইয়া বিক্রি করে। কিনার উপর বেচা। আমরা হালি হিসেবে কিন্না আনি। এহন তো কমই, কাল পরশু দাম আরো বাড়বো।
পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে ইলিশের প্রতি ঝোক বাড়ার কারণে স্থিতিশীল রয়েছে মাংসের দাম। চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি, পেঁয়াজ, আদা, রসুনের দামও স্থিতিশীল রয়েছে।