পুলিশ সদস্যকে অপহরনের পর হত্যার অভিযোগ : আটক-৮

প্রকাশঃ ২০১৮-০৩-২৭ - ১৮:২৬

ফারুক হোসেন, পাবনা : ঢাকা ডিএমপি রায়ট এ কর্মরত এক পুলিশ সদস্যেকে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে পুলিশ ইনসপেক্টরসহ তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। নিহত পুলিশ সদস্য আনোয়ার হোসেন (৩৮) সাঁথিয়া পৌরসভাধীন গোপিনাথপুর গ্রামের আব্দুল ওয়াহাবের ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার বেড়া উপজেলার আমিন পুর থানাধীন নয়াবাড়িতে অবস্থিত বাগানবাড়ি মিষ্টান্ন’র মেসে। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই মেসের ৮জনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সাঁথিয়া পৌরসভাধীন গোপিনাথপুর গ্রামের আনোয়ার ঢাকা ডিএমপি রায়ট এ পুলিশ সদস্য হিসাবে চাকুরি করতেন। ওই পুলিশ সদস্য চাকুরি দেবার কথা বলে কাশিনাথপুর অবস্থিত বাগানবাড়ি মিষ্টান্ন’র প্রধান শাখার ম্যানেজার ইকবালের আত্মীয়’র নিকট থেকে কিছু টাকা নেয়। চাকুরি না হওয়ায় পাওনাদার টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। এ বিষয়ে আনোয়ারের বিরুদ্ধে পুলিশ হেডকোয়াটারে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হওয়ায় আনোয়ার দীর্ঘদিন গড় হাজির থাকে। অভিযোগে জানা যায়,২৫ মার্চ পাওনাদার ইকবাল হোসেন ও ঢাকায় কর্মরত একজন পুলিশ ইনসপেক্টরসহ তিন পুলিশ সদস্যর সহযোগিতায় তার লোকজন দিয়ে চিনাখড়া বাজার থেকে আনোয়ারকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে নয়াবাড়িতে অবস্থিত বাগানবাড়ি মিষ্টান্ন’র মেসে আটক রেখে নির্যাতন চালায়। আনোয়ারের আত্মীয়স্বজনেরা খবর পেয়ে ঐ মেসে গেলে পাওনা টাকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে বলে। পরের দিন সকালে খবর পায় আনোয়ারকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ সংবাদ পেয়ে আমিনপুর থানা পুলিশ সোমবার (২৬ মার্চ ) সকালে আনোয়ারের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাবনা মর্গে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঐ মেসের ৮জনকে আটক করেছে। তবে বাগানবাড়ির প্রধান শাখার ম্যানেজার ইকবাল হোসেন পলাতক রয়েছে। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার সকালে আনোয়ারের স্ত্রী খালেদা খাতুন বাদী হয়ে ঢাকা মিরপুর পশ্চিম বিভাগের পুলিশ ইনসপেক্টর (সশস্ত্র) রেজাউল করিম, পুলিশ প্রোটেকশান বিভাগে কর্মরত সোহেল রানা ও হৃদয়সহ মোট ৬ জনকে আসামী করে আমিনপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা নং ২৯, ধারা ৩৬৪,৩০২,৩৪ তারিখ ২৭-৩-১৮ইং। এ বিষয়ে আমিনপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুকুমার মোহন্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, হত্যার ঘটনাটা রহস্যজনক ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে জানা যাবে।