আতঙ্কে রয়েছেন কয়েকটি গ্রামের মানুষ
চিহ্নিত ডাকাত ও চোরদের ওপর নজরদারী বাড়ানোর দাবী
বাগেরহাট : বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলায় ডাকাতের উপদ্রব বেড়েছে। হঠাৎ করেই ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ফকিরহাটের কয়েকটি গ্রামে। আজ এ—বাড়ি, কাল ও—বাড়ি মধ্যরাতে কড়া নাড়ছে এসকল ডাকাতরা। ডাকাতের এমন আতঙ্কে ঘুম হারাম হয়ে গেছে উপজেলার উৎকুল, সিংগাতি এবং খলসী গ্রামের মানুষের। পুলিশ ডাকাত চক্রকে শনাক্ত এবং গ্রেপ্তার করতে না পারায় পাহারা দিয়ে রাত কাটাচ্ছে ওই এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত পনেরোদিন ধরে ফকিরহাট উপজেলার উৎকুল, সিংগাতি এবং খলসী গ্রামে প্রায়ই বাড়িতে রাত—বেড়াতে ডাকাতরা এসে কড়া নাড়ছে। এ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী। আরো এই সব এলাকায় যথেষ্ট রোড লাইট না থাকায় অন্ধকারের জন্য এসকল এলাকাকে ডাকাতরা টার্গেট করেছে। সিংগাতীর বাসিন্দা সাফিন মোড়ল জানান, গত সোমবার মধ্যরাত আনুমানিক আড়াইটা থেকে তিনটার সময় কয়েকজন এসে বাড়ির দরজায় শব্দ করেছে। তবে জিজ্ঞাসা করায় কেউ কোন পাল্টা উত্তর দেননি। অন্য এক গৃহবধু জানান, তার স্বামী বাড়ির বাইরে ছিলো। ঘরে পুরুষ মানুষ ছিলো না। সোমবার রাতে হঠাৎ করেই কারা যেনো বাড়ির দরজায় শব্দ করে। এ নিয়ে আতঙ্কে পড়ে যান তারা। তবে দু—চার মিনিট পর তারা চলে যান।
উৎকুল গ্রামের ইদ্রিস আলী জানান, এলাকা কিছুটা প্রত্যন্ত হওয়াতে চোর—ডাকাতের উপদ্রব বেড়েছে। তবে পুলিশের নজরদারী বাড়ালে এবং চিহ্নিত ডাকাতদের খুজে নজরদারী করলে চোর ডাকাতের উপদ্রব কমে যাবে। ফকিরহাট সদর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জানান, সম্প্রতি আমার ইউনিয়নে কোন ডাকাতি সংগঠিত হয়নি। তবে বেতাগা, লকপুর, মৌবাগ এলাকা গুলোতে ডাকাতের উপদ্রব বেড়েছে বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে ফকিরহাট উপজেলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগের জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।