চুকনগরে পীর বাবার আবির্ভাবের খবর প্রকাশের পর আস্তানা খোলেননি হুজুর

প্রকাশঃ ২০১৮-০১-০৯ - ১৯:১৬

ডুমুরিয়া(খুলনা)প্রতিনিধি : বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর প্রকাশের পর গত দুইদিন চুকনগরের সেই পীর বাবার আস্তানা মঙ্গলবার আর খুলতে দেখা যায়নি। তবে তার গ্রামের বাড়ি রোস্তমপুরে তিনি তার কারামতি দেখাচ্ছেন বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য খুলনার ডুমুরিয়ার চুকনগর হাইস্কুল রোডে হটাৎ আর্বিভুত লতিফ হুজুরের পানি পড়া নিয়ে গত সোমবার দৈনিক লোকসমাজ, দৈনিক প্রবাহ, দৈনিক তথ্য, দৈনিক গ্রামের কাগজ, দৈনিক আমার একুশ সহ বেশ কয়েকটি কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে সোমবার ও মঙ্গলবার তার চেম্বার বন্ধ দেখা যায়। তবে চেম্বার বন্ধ থাকলেও গ্রামের বাড়ি রোস্তমপুরে নিয়মিত রোগী দেখছেন বলে জানা যায়। এব্যাপারে মঙলবার তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন পিপারে খবর আইয়েছতো এই জন্যি আপাতাক কয়দিন রুগী দেহা বন্ধ আছে, পরিস্থিতি ঠান্ডা হলি আবার দ্যাখপানে। উক্ত আঃ লতিফের কাছে কোথ্য়া পড়াশুনা করেছেন জানতে চাইলে তিনি চুকনগর কলেজ,কেশবপুর কলেজ ও বিএল কলেজে লেকাপড়া করিছি। তাহলে আপনাকে সবাই হুজুর বলে কেন? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০০১ সালে নুরানিয়া আলিয়া মাদ্রাসাত্যে দাখিল পাশ করিলাম। চিকিৎসার কোন রেজিষ্ট্রেশন আছে কিনা জানতে চাইলে রতিফ বলেন আমিতো ডাক্তার কবিরাজ না রেষ্টেশন লাগবে কি কত্তি, ঐ আল্লার কালাম পড়ে এট্টু ফু দি এতেই মানুষ ভাল হয়ে যায়।এদিকে লতিফের পক্ষে ইতোমধ্যে এক ম্যানেজ মিশন মাঠে নেমে পড়েছে, তারা কথিত লতিফ হুজুরের পানি পড়াকে সকল রোগের মহৌষধ বলে ব্যপকভাবে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। পক্ষান্তরে পত্রিকার খবর পড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সংস্থা ও স্বাস্থ্য বিভাগ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে। এবাপারে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এস কে মারুফ হাসান বলেন চিকিৎসা বিজ্ঞানে পানিপড়া তেল পড়ার কোন ভিত্তি নেই। বরং যারা এগুলোর সাথে জড়িত তারা মানুষের জীবন নিয়ে ছিনি মিনি খেলছে। খুলনা জেলা ডিবি পুলিশের ওসি শিকদার আক্কাস আলী বলেন যারা এসব করে এদরকে তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কারন পানিপড়াতে কখনও কারও অসুখ ভাল হতে পারেনা। এটা হল সহজ সরল মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ধোকা দেয়ার সামিল।