ইমতিয়াজ উদ্দিন, কয়রা (খুলনা) : কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যগে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের সভা চলাকালে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছে। ১০ জানুয়ারী সকাল ১১ টায় দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম মহসিন রেজার সভাপতিত্বে সভা চলাকালে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল সভাস্থলে এসে উপস্থিত হন। জেলার এই নেতার উপস্থিতিতে উপজেলা ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য চলাকালে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রকরে দলীয় কার্যালয়ের পিছনে আওয়ামী লীগের দুগ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। এতে উভয়গ্রুপের কমপক্ষে ১৮জন আহত হয়েছে বলে জানাগেছে। গুরুতর আহত ৫ জনকে উপজেলা স্বাস্থকেন্দ্রে ভর্তি করা হয় এবং অন্যদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। জানা যায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম মহসিন রেজার সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার সরদার ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এস এম শফিকুল ইসলামের দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। বুধবার সকালে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রকরে দলীয় কার্যালয়ের পিছনে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে সংঘর্ষকারীরা একে অপরকে ইট দিয়ে আঘাত করে। এসময় উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ১৮ সমর্থক আহত হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যš Íথানায় কোনো মামলা হয়নি। কয়রা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, সভা চলাকালে কিছু উশৃঙখল লোক সভার কার্যক্রমকে ব্যহত করার জন্য পরিকল্পিত ভাবে এ হামলা চালিয়েছে এতে তার ৯ জন অনুসারি আহত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম মহসিন রেজা বলেন, জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক থানা আওয়ামী লীগকে না জানিয়ে সভায় হাজির হওয়া ও এই হামলা সবই পূর্ব পরিকল্পিত। জেলার এই নেতা অনাকাঙ্খিত হাজির হওয়াতে অতি উৎসাহি কিছু লোক আমার কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা করে।এতে আমার ৯ জন কর্মী আহত হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল বলেন, অনুষ্ঠানে বিশৃংখলা করীদের বিরুদ্ধে তদন্ত পুর্বক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ এনামুল হক বলেন, বিবাদমান দুইগ্রুপের আধিপত্তের কারনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি সম্পুর্ণ নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।