খুলনা : খুলনার পাইকগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের এক জরুরী সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংগঠনের কার্যক্রমকে গতিশীল করার লক্ষ্যে পাইকগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের অন্তর্গত ১০টি ইউনিয়ন শাখা (হরিঢালী, গড়ইখালী, কপিলমুনি, লতা, দেলুটি, লস্কর, গদাইপুর, রাড়–লী, চাঁদখালী, সোলাদানা) ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল রবিবার পাইকগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস.এম. মশিয়ার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক তানজিম মুস্তাফিজ বাচ্চুর যৌথ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ৪নং দেলুটি, ৫নং সোলাদানা, ৬নং লস্কর, ৭নং গদাইপুর ও ১০নং গড়ইখালী ইউনিয়নের কমিটি দীর্ঘদিন যাবৎ মেয়াদোত্তীর্ণ, সভাপতি এবং সম্পাদক বিবাহিত/ চাকুরীরত হওয়ার কারণে উক্ত ইউনিয়ন কমিটি গুলোর কোন কার্যক্রম না থাকায় বিলুপ্ত করা হয়েছে।
এছাড়া সখুলনা জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা জানেন, গত ২১শে জুলাই ২০১৭ তারিখে উপজেলা কমিটি ঘোষণা করলে ২০০৯ সালের মেয়াদোত্তীর্ণ উপজেলা কমিটি ব্যাক ডেটে ৫টি ইউনিয়নের কমিটি (১নং হরিঢালী, ২নং কপিলমুনি, ৩নং লতা, ৮নং রাড়ুলী ও ৯নং চাঁদখালী) রাতারাতি ঘোষণা করেন। যেটা তৎকালীন সময় জেলা-উপজেলার কোন প্রিন্ট/ ইলেকট্রনিক্স/সোস্যাল মিডিয়ায় উপস্থাপন করা হয়নি। যাহা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র ও সংবিধানের বহির্ভূত। ঐ সময় দায়িত্বরত খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক তাহারা অবগত নন কিভাবে কমিটি হল। বিগত দিন থেকে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান পর্যন্ত কোন জাতীয়, স্থানীয়, দলীয় প্রোগ্রামে আমাদের সাথে কোন ইউনিয়ন কমিটির নেতৃবৃন্দ প্রোগ্রাম করতে দেখা যায়নি বরং আমরা যেখানে প্রোগ্রাম করেছি তারা গোপনে বাঁধা সৃষ্টি করেছে, যাহা খুবই হতাশা ও দুঃখজনক।