মাসুদ তাজ, অভয়নগর (যশোর) : অভয়নগর উপজেলার বাশুয়াড়ী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল বাশার সাইফুল্লাহর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলেও কর্মস্থলে যোগদানে বাঁধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাত কারনে অধ্যক্ষকে কর্মস্থলে যোগদান করার অনুমতি না দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে।
অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ অধ্যক্ষকে তাঁর বেতন উত্তোলনে অনুমতি দিয়েছেন। এদিকে অধ্যক্ষ আবুল বাশার সাইফুল্লাহর উপর সম্প্রতি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এরপর থেকে একটি মহল মাদ্রাসায় যোগদান না করতে তাকে নানাভাবে হুমকি ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে অভয়নগর থানায় একটি জিডি করেছেন অধ্যক্ষ, যার নং-৩২০। জিডি সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ জুন ২০১৭ তারিখে একটি কুচক্রিমহল তাকে মাদ্রাসা থেকে বিতাড়িত করতে মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাদ্রাসা কমিটি তাকে গত ১ জুলাই ২০১৭ তারিখে কারণ দর্শানোর নোটিশ করলে তিনি নোটিশের যথাযথ জবাবা দেন। লিখিত জবাব প্রদানের পর মাদ্রাসা কমিটি গত ১৭ আগস্ট ২০১৭ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন এবং অর্ধেক বেতন প্রদান করতে থাকেন। একই তারিখে অভয়নগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শেখ ফিরোজ আহমেদকে আহবায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন নির্বাহী অফিসার। তদন্ত কমিটি যথাযথ তদন্ত করে তাদের স্বাক্ষর সম্বলিত তদন্ত প্রতিবেদন গত ১৮ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে জমা দেন। তদন্ত প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে অনিত অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক প্রমাণিত হয়। তদন্ত কমিটি ওই অধ্যক্ষকে কর্মস্থলে যোগদানের অনুমতি প্রদানের সুপারিশ করেন।
পরবর্তীতে যশোর জেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে দ্বিতীয় দফা তদন্ত করা হয়। জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী পরিদর্শক গাজী হুমায়ুন কবীর স্বাক্ষরিত গত ১৪ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে তদন্ত প্রতিবেদনেও অভিযোগটি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক প্রমাণিত হয় এবং অধ্যক্ষকে কর্মস্থলে যোগদানের সুপারিশ করেন। তবে ২টি তদন্ত প্রতিবেদনের পর মাদ্রাসা কমিটি গত ১৬ অক্টোবর তাকে পূর্ণ বেতন প্রদান করলেও কর্মস্থলে যোগদানের অনুমতি দেয়নি বলে অভিযোগ করেন অধ্যক্ষ। দীর্ঘদিন অধ্যক্ষের অনুপস্থিতির ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা কার্যক্রম থেকে ছিটকে পড়ছে বলে অভিভাবকরা অভিযোগ তুলেছেন। যোগদানের অনুমতি পেয়েও সোমবার অবধি নিজ কর্মস্থলে যোগদান করতে পারেননি মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘোরা অসহায় এ অধ্যক্ষ। বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহনসহ কর্মস্থলে যোগদানের অনুমতি পেতে তিনি সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।