খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধি : ভালবেসে বিয়ে করে সুখের সংসার বেঁধেছিল হিরা মন্ডল (১৯)। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই যতুক লোভী স্বামী হিরোন মন্ডল (২৪), শাশুড়ী গীতা মন্ডল সহ পরিবারের সদস্যগণ ২(দুই) লাখ টাকার যৌতুকের দাবীতে নববধু হিরা মন্ডলকে শারিরীক নির্যাতন করতে থাকে। এক পর্যায়ে গত ২৪ অক্টোবর ২০১৭ শারিরীক নির্যাতন করে হত্যা করে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখে। পওে আত্মহত্যা বলে প্রতিবেশিদের মাধ্যমে এলাকায় প্রচার করে। গত ২৭ এপ্রিল ২০১৭ইং হিরা মন্ডল ভালবেসে বিয়ে করে পাশ্ববর্তী গ্রামের হিরোন মন্ডলকে। মাত্র ৬ (ছয়) মাসের ব্যবধানে মেহেদীর রং শুকাতে না শুকাতে যৌতুকের বলী হলো হিরা মন্ডল। নিহত হিরা মন্ডলের পিতা মাধম মন্ডল সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি। পক্ষান্তরে থানা পুলিশ একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে, যার মামলা নম্বর ০৮/১৭ । ঘটনাটি ঘটেছে আড়ংঘাটা থানার শানতলা গ্রামে। নিহতের পিতা এ বিষয়ে পুলিশের সহযোগীতা না পেয়ে গত ২০শে জানুয়ারী ২০১৮ খানজাহান আলী থানা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। আড়ংঘাটা থানার উক্ত মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ আবু হাসান হত্যাকারীদের পক্ষ নিয়া হত্যার আলামত নষ্ট করে ফেলেছেন এবং পরিকল্পিত হত্যাকে আত্মহত্যা বলে আসামীদের পক্ষ অবলম্বন করেছেন বলেও লিখিত অভিযোগে নিহতের পিতা জানান। থানা পুলিশ মামলা গ্রহণ না করায় দীর্ঘ দিন পর নিহতের পিতা মাধব মন্ডল বিজ্ঞ আদালতে একটি শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইনে অভিযোগ দাখিল করেন। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়া আড়ংঘাটা থানা পুলিশকে মামলা নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করলে থানা পুলিশ গত ২২ নভেম্বর ২০১৭ একটি মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নম্বর -০৬/২০১৭। কিন্তু আসামীগণ আজও গ্রেফতার হয়নি। সরেজমিনে আসামীদের বাড়ীতে গেলে সাংবাদিকদের উপস্থিতি জানতে পেরে আসামীগণ গাডাকা দেয়। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ আবু হাসানের মোবাঃ ০১৬৭১-৯২৬৮৪৫ যোগাযোগ করলে তিনি জানান মামলা তদন্ত চলছে তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো হবে। আসামী হিরোন মন্ডলের চাচী ও আসামী লিটন মন্ডলের মাতা সবিতা মন্ডল ও তার স্ত্রী প্রিয়াংকা মন্ডল সাংবাদিকদের জানান, আতœহত্যার মতো কোন ঘটনা গত ১৪ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে ঘটেনি। প্রতিদিনের মতো হিরা মন্ডল স্বাভাবিক ছিল, পরবর্তীতে তারা জানতে পারে সে মারা গেছে। কিভাবে মারা গেছে তা তারা জানেন না। এ বিষয়ে নিহতের পিতা ও তার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে জানান, মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আসামীগণ চাপ সৃষ্টি করছে। বাদী ও তার পরিবার আসামীদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী করেন।