খুলনা : খুলনার খালিশপুরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এক ওয়ার্ড নেতাকে চাঁদা না দেওয়ায়দুই ভাই বোনকে মারপিট করে গুরুতর আহত করা হয়েছে। আহতরা হলেন সাহানা বেগম (২৪) ও তার ভাই আলমগীর হোসেন(২৩)। আহত দ্জুন বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
ভুক্তভোগীরা জানান,আমরা চার জন বিদেশে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি শুনে ১৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদকনাজমুল হোসেন নাজু ও তার বাহিনী আমাদের নিকট ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। গত রবিবার রাত ৮টার দিকে আলমনগর বাজারের পিছনে ডেকে নিয়ে যায় এবং জিজ্ঞাসা করে তোরা কোন দেশে যাবি? আমরা কাতারে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি বলে উত্তর দিলে এসময় নাজুর ছেলে লিওন ও কামরুল ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। তখন সাহানা বেগম নিজেকে ১৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কর্মী দাবি করলে এসময় জয়নাল, ইসরাফিল, জুয়েল, কালু, শাওন, কিল, ঘুসি, ও লাঠি-সোটা নিয়ে আমাদের উপড়ে মারপিট শুরু করে। এসময় তারবাম পা ভেঁঙ্গে ফেলে ও তার ভাই’র বাম চোখে আঘাত করে ও মাথা ফেটে যায়। আমাদের আত্মচিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসলে তারা আমাদেরকে ফেলে চলে যায়। অতপর এলাকাবাসী ও আত্মীয় স্বজনরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সার্জারী ওয়ার্ড এ ভর্তি করে। এসময় সন্ত্রাসীরা ভুক্তভোগীদেও কাছে থাকা ১৫শত টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও বাইসাইকেল ছিনিয়ে নেয়।
এব্যাপারে খালিশপুর থানায় জানানো হলে কালীবাড়ী পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ রফিক ও দারোগা গনেশ ঘটনাস্থলে যান। পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি তারা বলছে মেডিকেল সার্টিফিকেট নিয়ে আসেন মামলা নেয়া হবে।
আলমনগর প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ আমাকে ছাড়াও ১৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিব, আওয়ামী সদস্য সোহরাব, ও মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল, খালিশপুর থানা মহিলা সভানেত্রী দিলরুবা রুবীসহ আরও অনেককেই গালিগালাজ, ও লাঞ্চিত করে। চাঁদাবাজী, মাদক ব্যবসার আশ্রয়দাতা, নাজমুল আলম নাজু ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচারে এলাকাবাসী ভীত সন্ত্রস্ত্র বলে তারা জানান।