খুলনা : ‘খুলনা জেলা সদর কোর্টের পুলিশ ইন্সপেক্টর এর মুন্সী প্রভাষের বিরুদ্ধে উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ’ শীর্ষক শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় গঠিত তদন্ত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্ত ৫ পুলিশ সদস্যকে বদলির সুপারিশ করা হয়েছে। এরা হচ্ছে কনস্টেবল প্রভাষ চন্দ্র মল্লিক, লুৎফর রহমান ও তাইফুর, এএসআই দীপঙ্কর।
গত বৃহস্পতিবার তদন্তকারী পুলিশের হেডকোয়ার্টার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) ওয়াসিম ফিরোজ ওই বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। ওই তদন্তকারী কর্মকর্তা সাংবাদিককে জানান, মামলার গুরুত্বপূর্ণ নথি ও কাগজপত্র থাকত। কিন্তু অবৈধ লেনদেন ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি খুলনা জেলা সদর কোর্টের পুলিশ ইন্সপেক্টর এর মুন্সী প্রভাষের বিরুদ্ধে উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়। খুলনা জেলা সদর কোর্টের পুলিশ ইন্সপেক্টর এর মুন্সী প্রভাষ চন্দ্র মল্লিক (কং নং-১০৫১) এর বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজের অজুহাত দেখিয়ে জেলা, থানার জিআরও’র কাছ থেকে উৎকোচ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই স্থানে ৮-৯ বছর থাকার সুবাদে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করাসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছেন। কিন্তু সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীর একই স্থানে বেশিদিন চাকরি করার সুযোগ নেই। জানা গেছে, পুলিশ প্রশাসনের একই স্থানে দীর্ঘদিন থাকার নিয়ম নেই। সেই জায়গা থেকে ওই সব কর্মকর্তাকে সরকারি চাকরি নীতিমালা অনুযায়ী বদলি করতে হয়। দেখা গেছে, জেলা সদরের মুন্সী কনস্টেবল প্রভাষ ৮-৯ বছর একই স্থানে রয়েছেন। জিআরও রূপসা কোর্টের এএসআই দীপংকর। সে কনস্টেবল পদে থাকার পর থেকে এখন পর্যন্ত একই স্থানে তার ১৪-১৫ বছর কেটে গেছে। কিন্তু তাকে বদলি করা হয়নি। এছাড়া জিআরও দিঘলিয়া কোর্টে কনস্টেবল লুৎফর (কং-৫১৩), জিআরও ডুমুরিয়া কোর্টে কনস্টেবল তাইফুর (কং ৫৪১), জিআরও দাকোপ কোর্টে সামসুর (কং ৪৪৪)। তারা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে একই স্থানে কর্মরত আছেন। একই স্থানে দীর্ঘ বছর থাকার সুবাদে তারা বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পড়ছেন।