দাকেপ (খুলনা) : থেকে জেলার দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জীবিত নবজাতককে মৃত ঘোষনা করায় তোলপাড়।
নবজাতকের পরিবার সূত্রে জানাযায়,গত বুধবার (৩১ জানুয়ারী) সন্ধ্যা ৭টা ২০মিনিটে উপজেলা সমবায় অধিদপ্তরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর সুরঞ্জন গাইনের স্ত্রী সোমা গাইন অসুস্থ হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। প্রথমে ডাঃ সন্তোষ কুমার মজুমদার রুগীকে চিকিৎসা দিয়ে বেডে পাঠান। রাত ২ টার দিকে রুগীর প্রসব বেদনা উঠলে কর্তব্যরত ডাঃ শামিম হোসেনের তত্বাবধানে তাঁকে ডেলিভারির জন্য কেবিনে নেওয়া হয়। সেখানে সোমা গাইন ১ কেজি ২শত গ্রাম ওজনের একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেন। প্রসবের পর দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সরা শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষনা করেন এবং টেবিলের উপর তুলা জড়িয়ে ফেলে রাখেন। নবজাতকের বাবা খবরটি খুব সকালে তাঁর বন্ধু ও আত্মীয়-স্বজনদের জানিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। তারপর সকালে হাসপাতালের আয়া আছমা বাচ্চাটিকে বালতিতে করে ফেলে দিতে নদীর দিকে রওনা হয়ে গেলে বাচ্চা নড়া-চড়ে ওঠে কাঁদতে থাকে। খবর জানতে পেরে রুগীর অভিভাবকরা মা ও শিশুটিকে বৃহস্পতিবার (১ফেব্রুয়ারী) সকালে দ্রুত খুলনা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতালের নার্স লিপিকা রানী সাহা বলেন ২টা ১০ মিনিট থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত বাচ্চাটিকে টেবিলের উপর রাখা হয় এবং পরে বাচ্চাটি জীবিত আছে টের পেয়ে ওয়ার্মে রাখা হয়।
বিষয়টি জানার জন্য মুঠোফোনে বার বার ডাঃ সন্তোষ কুমার মজুমদার ও ডাঃ শামিম হোসেনের সাথে আলাপ করার চেষ্টা করেও সংযাগ পাওয়া যায়নি। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোজাম্মেল হকের কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান আমি হাসপাতালে ছিলাম না আরএকই টাইমে ৩টি বাচ্চা হয়েছে তার মধ্যে একটি মৃত তাই গুজবটি রটেছে। যেভাবে বিষয়টি শোনাা যাচ্ছে তা ঠিক নয়।এদিকে হাসপাতালে প্রতক্ষদর্শি অনেকে বলেছে দায় এড়ানোর জন্য ডাকতার ও নার্সরা এমন বলছে,আসলে বাচ্চাটি মৃত নাকি জিবীত সেটা আদৌ সঠিক ভাবে দায়িত্বরতরা পর্যবেক্ষণ করেনি,বাচ্চাটি জিবীত জানার পর ডাকতারাই বানোয়াট কথাবার্তা বলে চলেছে।
এদিকে ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঘঁনাটি ছড়িয়ে পড়ায় রিতীমত এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। ডাক্তার ও নার্সদের গাফিলতির বিষয়টি সাধারণ মানুষ মেনে নিতে পারছেন না । বিষয়টির তদন্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন এলাকার অধিকাংশ মানুষ।