খুলনা : খুলনা নগরীর বসুপাড়া বাঁশতলা মোড়ে রেজওয়ান হোসেন সুমন হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম মাওলা শানু (৪২) আদালতে আত্মসমর্পন করেছেন। রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তিনি খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমার্পণ করেন। আদালতের বিচারক মোসাম্মাৎ দিলরুবা সুলতানা তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। গোলাম মাওলা শানু নগরীর পশ্চিম বানিয়াখামার এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে।
শানুর আইনজীবী এড. রজব আলী জানান, গোলাম মাওলা শানু খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ২৬নং ওয়ার্ডে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে পরপর ৩বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এলাকায় তিনি বেশ জনপ্রিয়। তার জনপ্রিয়তায় ঈশাম্বিত হয়ে এলাকার একটি হত্যার ঘটনায় তাকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। যেহেতু সে বর্তমানে কাউন্সিলর হওয়া স্বত্বেও এলাকার উন্নয়নে অংশ নিতে পারছে না। সেহেতু সে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আদালতে আত্মসমর্পন করেছেন। আইনের মাধ্যমে মামলার নিষ্পত্তি হয়ে সে এলাকাবাসির নিকট ফিরে আসতে পারবে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৬ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রেজওয়ান হোসেন সুমন তার দু’বন্ধু ইমদাদুল হক মিলন ও সোহাগ সরদারকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে বসুপাড়া বাঁশতলা মোড় দিয়ে যাচ্ছিল। এসময় পুর্বশত্রুতার জেরে ১৫/১৬জন তাদের আক্রমণ করে। তারা কুপিয়ে আহত করে। তাদেরকে মারাত্মক আহত অবস্থায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সুমন মারা যায়। এঘটনায় নিহত সুমনের মা রাজিয়া আক্তার ডলি বাদি হয়ে ১২জনের নাম উল্লেখ ও আরো ৮/৯জনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন যার নং-০৯।
মামলার আসামিরা হলেন নগরীর পশ্চিম বানিয়াখামার এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম মাওলা শানু (৪২), তার ভাই মো. ছোটন (২৯), বসুপাড়া বাঁশতলা এলাকার শহীদ মীরের দু’ছেলে টুলু (২৫) ও জুলু (২৭), বসুপাড়া আন্দির পুকুর এলাকার আলতাব সরদারের ছেলে ইমরান (২৮), ডিস মোহাম্মাদের ছেলে জাকারিয়া (২৭), আব্দুর রশিদের ছেলে জাহিদ (৩৫), বসুপাড়া এতিমখানা রোড বাইলেনের কাজী সেলিমের ছেলে জসিম (২৫), বিহারী কলোনীর মোড়ের আকবর বিহারীর ছেলে নুর আলম (৩৫), নাজিরঘাট এলাকার সোবহান শিকদারের ছেলে ফোরকান (৩০), বসুপাড়া মাইছো গলির বারেক গাজীর ছেলে হালিম গাজী (৩০) ও পশ্চিম বানিয়াখামার ক্রস রোডের বাচ্চু মীরের ছেলে সৈকত (২৫)। এ মামলায় ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম মাওলা শানু বাদে সকল আসামি জামিনে রয়েছেন।