খুলনা: মাতৃভাষার ও মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসার টানে একুশে বইমেলা প্রাঙ্গণে ছুটে এসেছে দর্শনার্থী ও বইপ্রেমীরা। শুক্রবার সকাল থেকে তরুণ-তরুণীরা বইমেলা প্রাঙ্গণে আসতে শুরু করে। বিকেল গড়াতে ভীড় বেড়ে যায়। ছোট থেকে বড় সব বয়সের মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয় বইমেলা প্রাঙ্গণ। প্রিয় মানুষদের সেরা বইটি উপহার দিতে বইপ্রেমিদের ভিড় ছিল লক্ষ্য করার মতো।
গতকাল শুক্রবার ছিল একুশে বইমেলা, খুলনা’র ৯ম দিন। দিনটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় বইমেলায় ক্রেতা দর্শকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। প্রাণের মেলায় দিন দিন বাড়ছে বই ও সংস্কৃতিপ্রেমী ক্রেতা দর্শকদের উপস্থিতি।
এদিকে গতকাল বিকাল ৪টায় বইমেলার মঞ্চে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি এবং ছোটগল্পকার সোনালী সেন এর ১ম গল্পগ্রন্থ “কন্যাকাহন” এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হুমায়ূন কবীর পিপিএম এর সভাপতিত্বে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, সরকারি বিএল কলেজ, খুলনার অধ্যক্ষ সৈয়দ সাদিক জাহিদুল ইসলাম, খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রওশন আকতার, সরকারি এম এম সিটি কলেজ, খুলনার অধ্যক্ষ প্রফেসর সালমা পারভীন এবং খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার, খুলনার লাইব্রেরিয়ান এবং একুশে বইমেলা, খুলনার সদস্য সচিব ড. মোঃ আহছান উল্যাহ। অনুষ্ঠানে নিজ বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের অনুভূতি ব্যক্ত করেন লেখিকা সোনালী সেন।
পরবর্তীতে আবৃত্তিকুঞ্জের বাচিক শিল্পীদের পরিবেশনায় আবৃত্তি অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিশেনায় ছিল নগর নাট্যদল, খুলনা এবং সুরছন্দের শিল্পীবৃন্দ। প্রচুর দর্শকশ্রোতা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন এস এম হুসাইন বিল্লাহ, এ্যাডভোকেট আরিফা খাতুন, হিমাংশু বিশ্বাস এবং অধ্যাপক আজিজুল ইসলাম টিপু।