পাইকগাছা :পাইকগাছা পৌর বাজারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিক্রি হচ্ছে মাংস। তদারকির অভাবে বিক্রি করছে গাভি গরু ও মহিষ এবং একদিন আগের জবাই করা গরুর মাংস। দামেরও রয়েছে ব্যাপক তারতম্য। এ ধরণের মাংস কিনে সাধারণ ক্রেতারা একদিকে যেমন ঠকছেন, তেমনি পড়ছেন স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। এ ব্যাপারে শক্তিশালী বাজার মনিটরিং ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন ও প্রশাসনিক তদারকি জোরদারের দাবী জানিয়েছেন সচেতন এলাকাবাসী।
সূত্রমতে, প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহিত করার মাধ্যমে পশু জবাই করার নিয়ম থাকলেও পৌর বাজারের বেশিরভাগ ব্যবসায়ীরা তা অনুসরণ করেন না। তারা নিজেদের খুশিমত যেনতেন পশু জবাই করে দেদার্ছে বিক্রি করে চলেছেন। যেখানে মাংস বিক্রি করা হয়, সেখানে সব সময় স্যাতসেতে অবস্থা বিরাজ করে। অপরদিকে সকালে জনসম্মুখে পশু জবাইয়ের কথা থাকলেও ব্যবসায়ীরা তা অনুসরণ না করে ভোর রাতে জবাই করে থাকেন। এ কারণে অনেক ক্রেতা ষাড়ের মাংস ভেবে গাভী গরুর মাংস কিনে ঠকছেন। ব্যবসায়ী ছাত্তারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ এলাকাবাসীর। সোমবার বাজারে গিয়ে দেখা যায় দুই জায়গায় গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। যার এক জায়গায় গাভীর মাংস, অপর জায়গায় একদিন আগের জবাই করা গরুর মাংস। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গাভী গরুর মাংস বিক্রেতা ইসমাইল হোসেন জানান, কোন ব্যবসায়ী তেমন কোন নিয়ম মানেন না। আমি যখন গরু জবাই করি তখন অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। তবে এ ক্ষেত্রে মাংস বাজারের আশে পাশের তেমন কেউ জবাইয়ের পূর্বে গরুটি দেখেছেন এমন কেউ বলতে পারেন নি। অনেক দিন বিক্রি করতে করতে যে মাংস থেকে যায় তা ফ্রিজে রাখার পর পরের দিন বিক্রি করা হয় বলে ব্যবসায়ী রজব আলী জানিয়েছেন। এমন মাংস বিক্রির খবর পেয়ে সোমবার সকাল ১১ টার দিকে মাংস বাজার পরিদর্শন করেন উপজেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর উদয় কুমার মন্ডল। তিনি বলেন, গাভী গরু ও ফ্রিজে রাখা মাংস বিক্রির বিষয়টির সত্যতা পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের শতর্ক করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।