যশোরে সেই কুলাঙ্গার জন্মদাতার বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা

প্রকাশঃ ২০১৮-০২-১৯ - ২০:৫৯

যশোর: জন্মদাতা পিতার লালসার শিকারের এক পর্যায়ে কিশোরী কাজলী শেখ আত্মহত্যা করতে বাধ্য হওয়ায় ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের মা এবং কুলাঙ্গারের স্ত্রী পারুল বেগম এ মামলা করেছেন।

যশোর শহরের বকচর হুশতলার ইজিবাইক চালক সায়েম শেখের স্ত্রী পারুল বেগম কোতয়ালি মডেল থানায় দায়েরকৃত এজাহারে বলেছেন,তার স্বামী সায়েম শেখ ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা চালাতো। সে প্রায় সময় নেশায় আসক্ত থাকতো। বিগত ৩/৪ মাস পূর্বে বিকেল ৩ টায় পারুল ঘরে অন্য কাজে ছিল। বড় মেয়ে কাজলী শেখ ঘরের মধ্যে থাকায় জন্মদাতা পিতা সায়েম শেখ মেয়েকে চুমু খাওয়ার এক পর্যায় গায়ে হাত দেয়। বিষয়টি পারুল প্রতিবাদ করলে তাকে বকাঝোকা করে। এব্যাপারে পারুল দেবর ও স্থানীয় লোকজন পরানসহ অন্যান্যদের জানান। স্থানীয় লোকজন সায়েম শেখকে নিয়ে বৈঠকে বসে। এতে তিনি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পারুল স্থানীয় একটি জর্দ্দার ফ্যাক্টরীতে কাজ করতো। বড় মেয়ে কাজলী শেখ পাশ্ববর্তী বে সরকারী স্কুলে ৪র্থ শ্রেনীতে লেখাপড়া করে। স্বামী সায়েম শেখ মাঝে মধ্যে বড় মেয়ে কাজলী শেখকে চুমু খাওয়াসহ শরীরে হাত দিতো। গত রোববার ১৮ ফেব্রুয়ারী পারুল বেগম তার কর্মস্থলে চলে যায়। বড় মেয়ে কাজলী শেখ,মেঝ মেয়ে সুমাইয়া ও ছোট মেয়ে রুকাইয়া বাড়িতে ছিল। সায়েম শেখ বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিল। সুমাইয়া স্কুলে যেতে চাইলে কাজলী শেখ যেতে নিষেধ করে। সে সুমাইয়াকে জানায় স্কুলে গেলে তার পিতা সায়েম শেখ তার গায়ে হাত দিবে। সুমাইয়া স্কুলে চলে যায়। ছোট মেয়ে রুকাইয়া পাশে চাচার বাড়িতে টিভি দেখতে যায়। পরবর্তীতে সুমাইয়া স্কুল থেকে বেলা ১১ টায় ফিরে দেখে কাজলী শেখ ঘরে নিজ পরনের ওড়না দিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলে রয়েছে। পারুলকে খবর দিলে দ্রুত এসে ঘরের মধ্যে কাজলী শেখের লাশ দেখে দেবরকে জানায়। পরবর্তীতে স্থানীয় কাউন্সিলর আসার পর লাশ মাটিতে নামিয়ে ফেলে। পরবর্তীতে কুলাঙ্গার নরপশু জন্মদাতা পিতা সায়েম শেখ আসলে তাকে ধরে মারপিট করে পুলিশে দেয়। পারুল বেগমের অভিযোগ কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ আত্মহত্যার প্ররোচনার অপরাধে এজাহার হিসেবে নথিভূক্ত করে। সোমবার সকালে সায়েম শেখকে আদালতে সোপর্দ করে।