খুলনা : খুলনায় বটিয়াঘাটা উপজেলায় দশ সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর হামলা ও জোরপূর্বক সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে। পৈত্রিক ওয়ারিশ ও খরিদসূত্রে ২২ দশমিক ৯৩ একর জমির মালিক হলেও শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করতে পারছেন না তারা। কারণ ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীরা মিলে লাগাতার সশস্ত্র ভাংচুর, হামলা, মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশী হয়রানি চালিয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার খুলনা জেলা প্রশাসকের কাছে এমন অভিযোগ করেন সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্য দিগি¦জয় রায়, পলাশ রায় ও সনজিৎ রায়।
অভিযোগে বলা হয়, সর্বশেষ ১৯ ফেব্র“য়ারি সকাল ৭টায় কেয়ারটেকারসহ তিনজনকে পুলিশ প্রথমে আটক ও পরে মিথ্য মামলায় কারাগারে পাঠায়। অপরদিকে ওইদিনই সন্ত্রাসীরা সংখ্যালঘু পরিবারের ঘর-বাড়ি ভাংচুর করে, ঘরের আসবাবপত্র ও মালামাল বিনষ্ট করে। এছাড়া ঘরে রক্ষিত নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নেয়, পুকুরের মাছ ধরে নেয়, সীমানা বেড়া কেটে দেয় এবং গোয়ালঘর ভেঙে দেয়। এঅবস্থায় খোলা আকাশের নীচে দিনরাত্রি কাটছে।
সন্ত্রাসী ও জাল-জালিয়াতি চক্রের সদস্য নগরীর জাহিদুর রহমানের সড়কের বাসিন্দা এসএস ফরমান আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান হাফিজ, আকবর খাঁর ছেলে মো: নজরুল ইসলাম, মোন্তাজ বিশ্বাসের ছেলে মিকাইল বিশ্বাস, কুদ্দুস শেখের দুই ছেলে শাকিল ও আলআমিন, বটিয়াঘাটা হাটবাড়ির বাসিন্দা শহিদ শেখের ছেলে মহিনুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১৫জন মূলত: এই হামলা চালায়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ইতোপূর্বে গত বছরের ১২ নভেম্বর এই সন্ত্রাসীরা পুকুরের মাছ জোরপূর্বক ধরার চেষ্টা করলে দিগি¦জয় রায় থানায় জিডি (নং ৬৪১) করে। আবার গত ১৪ ফেব্র“য়ারি পুনরায় সন্ত্রাসীরা হামলা চালালে আবার থানায় জিডি (নং ৬৬৬) হয়। অভিযোগে উল্লেখ, রনজিৎ সরকার ও অনিল সরদার জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে নিরীহ মানুষের সম্পত্তি দখল করে আসছে।
তারই ধারাবাহিকতায় উক্ত জমির ভূয়া স্বত্ত্ব কাগজ বানিয়ে রণজিৎ ও অনিল মিথ্যা মামলায় পরিবারের সদস্যদের আটক করায়, পোষ্য সন্ত্রাসী দ্বারা হামলা চালায়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে এবং জানমাল-জমির নিরাপত্তা চাওয়া হয় আবেদনে। উল্লেখ্য, দীর্ঘ ২২/২৩ বছর সংখ্যালঘু পরিবারগুলো সেখানে বসবাস করছে।