বটিয়াঘাটা প্রতিনিধিঃ আবারও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন বটিয়াঘাটার দানবীর শিল্পপতি প্রফুল্ল কুমার রায়। দক্ষিণ শৈলমারী কৈয়াবাজার খেওয়া ঘাটের ইঞ্জিন চালিত ট্রলার বানিয়ে জীবন জীবিকার পথ তৈরী করে দেওয়া এবং যাত্রী পারাপারের ব্যবস্থা সুগম করে দিয়ে এ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। গত দুই মাস পূর্বে ওই ঘাটের ট্রলার মাঝি অনিমেষ বিশ্বাসের ট্রলারটি কে বা কারা চুরি করে নিয়ে যায়। সেই থেকে অনিমেষের সংসার অস্বচ্ছলতার মধ্যদিয়ে জীবন যাপন করছিলো। এমনকি ওই ঘাট দিয়ে পারাপাররত যাত্রীদের দূর্ভোগ পোহাতে হতো। বিষয়টি শিল্পপতি প্রফুল্ল কুমার রায়ের দৃষ্টিতে এলে তিনি প্রায় এক লক্ষ টাকা ব্যায়ে একটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার নির্মান করেন। সোমবার বিকাল ৪টায় দক্ষিণ শৈলমারী খেওয়া ঘাট কালীমন্দির ও মহাশ্মশ্মানঘাট প্রাঙ্গনে অনিমেষের হাতে ট্রলারটি এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে হস্তান্তর করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মনোরঞ্জন মন্ডলের সভাপতিত্বে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্পপতি প্রফুল্ল কুমার রায়, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রতাপ ঘোষ, বীরমুক্তিযোদ্ধা অনাদী সরকার, ইউপি সদস্য রবীন্দ্রনাথ বৈরাগী, আ’লীগনেতা অসিম সরকার। উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবিকা প্রমীলা রায়, সাংবাদিক শাহীন বিশ্বাস, সাংবাদিক গাজী তরিকুল ইসলাম, হিন্দু কল্যাণ ফ্রন্টনেতা সুদীপ্ত মল্লিক, মন্দির কমিটির সভাপতি পরিতোষ সরকার, তুষার সরকার, আ,লীগনেতা শেখর মন্ডল, যুবলীগনেতা প্রনব মন্ডল, বিকাশ মন্ডল প্রমূখ। এ সময় প্রফুল্ল রায়ের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে হৃদরোগে আক্রান্ত পঙ্কজ সরকারকে নগদ ৫হাজার টাকা প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য গত ২০বছর পূর্বে খেওয়া ঘাট মাঝি অনিমেষের পিতা সুশিল সরকারকেও ট্রলারে যাত্রী সেজে তাকে গ্রাফি দিয়ে বেঁধে নদীতে ফেলে দিয়ে ওই সময় ট্রলারটি নিয়ে পালিয়ে যায়। দুই-তিন দিন পর সুশিলের লাশ এলাকাবাসী নদীতে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে।