পাইকগাছা প্রতিনিধি : পাইকগাছায় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে সরকারী জায়গা থেকে মাটি কেটে ইট পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যসহ দু’প্রভাবশালী ভাটা মালিকের বিরুদ্ধে। এলাকাবাসির অভিযোগ সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ লাল ফ্লাগ দিয়ে সরকারী জায়গা চিহ্নিত করে মাটি কাটায় নিষেধ করলেও ভাটা মালিকরা কোন ক্ষমতা বলে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মাটি কাটা অব্যাহত রেখেছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন! মাটি কাটা নিয়ে ভাটা মালিকরা একে অপরের দোষারোপ করে চলেছেন। সংশ্লিষ্ঠ সুত্রে জানাগেছে উপজেলার চাঁদখালী ইউপির গড়েরডাঙ্গা ও ফতেপুর সিমান্তের কাটাঁখালী স্লুইস গেটের খালের দু’পাশে স্থানীয় ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য আঃ মান্নানের বিডিএম বিক্সস ও জলিল সরদারের আল্লারদান নামে দুটি ইটভাটা গড়ে তুলেছেন এবং কপোতাক্ষ পাড়ের এ সরকারী খাল থেকে মাটি কেটে ইটের ভাটায় ব্যবহার করছেন। এ বিষয়ে লস্কর ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা এনামূল কবির জানান,ইতোমধ্যে সরকারী সার্ভেয়ার দ্বারা সরকারী জায়গায় লাল ফ্লাগ দিয়ে সিমানা চিহ্নিত করা হলেও ইউপি সদস্য আঃ মান্নান তা উপেক্ষা করে মাটি কেটে ইট পোড়াচ্ছেন। সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেণ ,শুধু ইউপি সদস্য নয় পার্শ্ববর্তী ভাটা মালিক জলিল সরদারও এ সরকারী জায়গা থেকে মাটি কেটে ভাটার কাজে লাগাচ্ছেন। অভিযোগ উঠেছে ভাটা মালিকরা কৌশলে বিশেষ করে সরকারী ছুটির দিনে কর্মকর্তারা কর্মস্থলে না থাকার সুযোগ নিয়ে অবৈধভাবে মাটি কেটে থাকেন। এ অভিযোগ সম্বন্ধে ভাটা মালিক ও ইউপি সদস্য আঃ মান্নান বলেন,তহশীলদার নিষেধ করার পর সরকারী জায়গা বাদে নিজের রেকর্ডীয় জায়গা থেকে মাটি কাটছেন। তবে কে মাটি কাটছেন এ নিয়ে মোবাইলে প্রশ্ন করা হলে তিনি পার্শ্ববর্তী ভাটা মালিক জলিল সরদারের উপর দোষ চাপিয়ে দেন। এ বিষয়ে নিজের জায়গায় মাটি কাটার কথা বলে অপর ভাটা মালিক জলিল সরদার ও তার কর্মচারীরা ইউপি সদস্য মান্নানের উপর মাটি কাটার পাল্টাভাবে দোষ চাপিয়ে দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফকরুল হাসান বলেন, নীতিমালা উপেক্ষা করে যে ভাটা মালিকরা সরকারী জায়গা থেকে মাটি উত্তোলন করছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানিয়েছেন। সর্বশেষ একটি বিশ্বস্ত সুত্র জানিয়েছেন প্রভাবশালীরা মাটি নিয়ে বানিজ্য করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন।