ঝালকাঠি প্রতিনিধি : অবশেষে ইউনিক নিউজে সংবাদ প্রকাশের পর পাল্টেগেছে নলছিটির পশ্চিম সুবিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দৃশ্যমান। পাল্টে গেছে স্কুলের দৈন্যদশা।শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্তিতি লক্ষনীয়।“শিক্ষকরা আসেন না ক্লাসও হয় না শিরোনামে” বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ স্কুলের বিভিন্ন অনিয়ম ,দুর্নিতি ও শিক্ষকরা স্কুলে না এসে বেতন তোলা,খেয়ালখুশিমতো স্কুলে এসে হাজিরা খাতায় সই করে চলে যাওয়া,এবং অফিস কক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি এবং মনিটারিং বোর্ড না টানানোসহ স্কুলের অবকাঠামো সম্পর্কে সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়ে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন ও নলছিটি উপজেলা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের। সংবাদ প্রকাশের পরপরই ঝালকাঠি জেলা প্রসাশক মো: হামিদুল হক বিষয়টি নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো:আশ্রাফুল ইসলাম কে ওই স্কুলটি পরিদর্শনের নির্দেশ দেন । সে অনুযায়ী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: মোজাম্মেল হক ও ক্লাস্টার দায়িত্বরত সহকারি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উম্মে হাবিবা ঊর্মি গত সোমবার বেলা ২টায় উপজেলার পশ্চিম সুবিদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।পরিদর্শনে সচিত্র সংবাদ ও স্কুলের হালচাল অনিয়ম, সত্যতা পেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন।এর ধারাবাহিকতা ও তদন্ত অব্যাহত থাকায় মাত্র এক সপ্তাহের ব্যাবধানে পাল্টে গেছে স্কুলের দৃশ্যচিত্র। শিক্ষকদের নিজ অর্থায়নে স্কুলের অবকাঠামো মেরামত(সংস্কারকাজ), অফিস কক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি, এবং মনিটারিং বোর্ড টানানো সহ ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্তিতি নিশ্চিত করন এবং ফ্লাকষ্টার্ন নির্মান,স্কুল আঙ্গিনা পরিস্কার পরিছন্ন পরিবেশ তৈরি করেছেন।ঝালকাঠি জেলা প্রসাশক মো: হামিদুল হক এর নির্দেশে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার তত্বাবাধনে,শিক্ষকদের নিয়মিত করন,ছাত্র-ছাত্রীদের শতভাগ উপস্তিতি নিশ্চিত করনের লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত মনিটরিং অব্যাহত রেখেছেন। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. মিজানুর রহমান ফোরকান জানান, শিক্ষকরা সঠিক সময়ে আসলে এবং ঠিক মত ক্লাস নিলে পূর্বেরমত স্কুলের পূর্ণতা ফিরে পাবে বলে তিনি আশা ব্যাক্ত করেন।তিনি আরো দাবী করেন,অযোগ্য শিক্ষকদের অন্যত্রবদলী (স্থানন্তর)করা হলে শিক্ষার মানউন্নয়ন আরো ভালো হবে বলে দাবী করেন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, সংবাদ প্রকাশের পরপরই সরেজমিন পরিদর্শনে এসে সত্যতা পেয়ে স্কুলের বিধি মোতাবেক পরিচালনার নির্দেশ দেই।বে-কায়দায় পরে স্কুলের দৈন্যদশা ফিরিয়ে আনতে শিক্ষকরা আপ্রায়ন চেষ্টা চালাচ্ছে।