ডুমুরিয়া (খুলনা) : খুলনার ডুমুরিয়ায় দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে মৃৎ শিল্প।যতই দিন যাচ্ছে ততই এর চাহিদা কমছে।এ পেশায় এখন
আর সংসার চলছে না।কোন রকম খেয়ে পরে চলছে মৃৎ শিল্পিদের দৈনন্দিন জীবন।আর এ ভাবে চাহিদা কমতে থাকলে অচিরেই হারিয়ে যাবে মৃৎ শিল্প।পথে বসবে হাজার হাজার পরিবার। উপজেলার বিভিন্ন পাল পাড়ায় খোঁজ নিয়ে এমন তথ্য জানা গেছে।এর জন্য প্লাস্টিক ও এ্যনামেল শিল্প দায়ী বলে
অভিযোগ পাল পল্লীর নারী পূরুষের। আশু সরকারী সহেতা কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার গুলি।
জানাযায় উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নে যেখানে রয়েছে শতশত পাল পরিবারের হাজার হাজার লোকের বসবাস।মাটির তৈরী হাড়ি,পাতিল,কলসি সহ বিভিন্ন সামগ্রী তৈরী ও বিক্রি তাদের পেষা।পূর্ব পূরুষের এ পেষা ধরে জীবন যুদ্ধে সফলতা অর্জন করে আসছে তারা।তাদের চোখে মুখে ছিলসোঁনলী স্বপ্ন।কিন্তু সে গুড়ে এখন বালি।নুন আনতে পান্তা ফুরাচ্ছে তদের।এমনটি জানিয়েছেন শরাফপুর ও শোলগাতিয়া পালপাড়ার নারায়ন পাল,বিল্লু পাল,সঞ্জয় পাল,পরিতোষ পাল,সুচিত্রা পাল সহ অনেকে।তারা জানান একসময় মাটির তৈরী হাড়ি,পাতিল,কলসি সহ বিভিন্ন সামগ্রী তৈরী ও বিক্রির প্রতিযোগিতা ছিল।মৃত শিল্প তৈরী করে গ্রামে গ্রামে আবার কখনো হাট বাজারে বিক্রি করে লাভবান হতাম।মিটাতাম সংসারের চাহিদা,দেখতাম সোঁনালী স্বপ্ন।কিন্তু এখন প্লাস্টিক ও এ্যনামেল‘র চাপে নেইআর প্রতিযোগিতা,হারিয়েছে সকল স্বপ্ন।তারা আরো জানান তাদের ছেলে মেয়েরা এখন আর এ কাজ শিখছেনা।খুজছে অন্য পেষা। কথা হয় ডুমুরিয়া সদরে শংকর ও প্রীতিষ পালের সাথে,তিনি জানান সদর পালপাড়া এখন আর পালপাড়া নেই।হারিয়ে গেছে সে সব ঐতিহ্য।এখন মুদি দোকানের পাসাপাসি দু‘একটি হাড়ি,পাতিল ক্রয় করে বিক্রি করি।যেখানে হাত দেবেন সেখানেই প্লাস্টিক ও এনামেলের ব্যবহার।আমাদের আদি পেশাটি ছিল খুবইকষ্টের কাজ,তবুও সে কাজের মাঝে ছিল এক অপূর্ব সুখ।পরিবারের সকলে মিলে সে সুখ ভাগাভাগি করে নিতাম।তিনি আরো বলেন এ পেশায় নেই সরকারি কোন সহায়তা,নেই লোন ও প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা।প্রতিযোগিতা বাজারে টিকে থাকা অসম্ভব।বাধ্য হয়ে গুটিয়ে নিয়েছি আদি ও পূর্ব পূরুষের পেশা। বেছেনিতে হচ্ছে গুড়,মিষ্টি তৈরী সহ অন্যান্য পেশা। সরকারের সহযোগিত কামনা করেছেন তারা।