খুলনা : খুলনায় কীটনাশক পানে আত্মহত্যাকারী মোঃ ইউসুফ (২৮) নামে এক ব্যক্তির লাশ পোস্টমর্টেম (সুরতহাল) রিপোর্ট ছাড়াই নিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মারা যান তিনি। তিনি নগরীর পূর্ব বানিয়াখামার এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের এক নেতার নির্দেশে তার লোকজন পোস্টমর্টেম ছাড়াই লাশ আনতে গেলে হাসপাতালে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা বাধা দেন। এ কারণে ওই মৃত ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন না হত্যা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
হাসপাতালের সূত্রে জানা যায়, গত ১২ ফেব্রুয়ারি কীটনাশক পানে গুরুতর অবস্থায় মোঃ ইউনুস ওই দিন রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে ভর্তি হন। ভর্তির পর থেকেই তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি নগরীর পূর্ববানিয়াখামার এলাকার বাসিন্দা আসাবুরের পুত্র। মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) দুপুরে তিনি মারা যান। তার আত্মীয়স্বজনরা তাকে তড়িঘড়ি করে পোস্টমর্টেম না করিয়েই হাসপাতাল থেকে নিযে যাবার চেষ্টা করেন। স্থানীয় এলাকার ক্ষমতাসীন দলের এক নেতার নির্দেশে লোকজন এসে হাসপাতাল থেকে লাশ নিয়ে যেতে চান। এ সময় তারা ক্ষমতাসীন দলের লোক পরিচয় দেন। এতে পুলিশ কর্ণপাত না করে সংশ্লিষ্ট থানায় বিষয়টি অবহিত করে। জানা গেছে, পারিবারিক শত্রুতার কারণে ইউনুসকে কৌশলে বিষপান করিয়ে হত্যা করা হতে পারে। তা না হলে, লাশ নিয়ে যাওয়ার সময় সে স্ট্রোক ও ডায়াবেটিকস রোগী ছিল বলে মিথ্যা সাজানো নাটক করায় তার মৃত্যু নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে। এ প্রতিবেদক ওই মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে বলেন, সে স্ট্রোক করেছে, অরেকজন বলে ওঠেন, তার ডায়াবেটিকস হয়েছিল। কিন্তু ওই ওয়ার্ডে কর্তব্যরত নার্সরা জানায়, মোঃ ইউনুসকে গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে কীটনাশক পান করা অবস্থায় এখানে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার দুপুরে তিনি মারা যান।
এ ব্যাপারে খুলনা সদর থানার ওসি মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, ওই মৃত ব্যক্তির পোস্টমর্টেম ছাড়া কোনভাবে লাশ হস্তান্তর করা যাবে না। তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে তদন্ত করে কিছু পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।