খুলনা : খুলনা নগরীর ৭ নম্বর ঘাট এলাকা থেকে নিম্নমানের ২০০ মেট্রিক টন ডিএপি সারসহ একজনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বিএডিসি যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে এ সার জব্দ করে। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটিকে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। অনাদায়ে স্থানীয় সুপারভাইজারকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরাফাতুল আলম ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন। উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনার অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. হাসান ওয়ারিসুল কবির এবং বিএডিসির যুগ্ম পরিচালক (সার) প্রশান্ত কুমার সাহা। ডিএডি লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে র্যাব-৬ এর একটি দল অভিযানে সহায়তা করে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, ৭ নম্বর ঘাট এলাকায় এজেন্ট প্রতিষ্ঠান মেসার্স সাউথ ডেল্টার শ্রমিকরা কার্গোর মধ্যে সদ্য আমদানিকৃত মানসম্মত সারের সঙ্গে দীর্ঘদিন আগে আমদানিকৃত জমাট বাঁধা ব্যবহার অনুপযোগী নিম্নমানের ভেজা সার মেশাচ্ছিলো। র্যাবের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে মেশানো অবস্থায় হাতে-নাতে প্রতিষ্ঠানটির স্থানীয় সুপারভাইজার মো. শহীদুল ইসলাম ওরফে মাটিকে আটক করে আদালত। পরে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক জরিমানা পরিশোধ করলে শহীদুলকে ছেড়ে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে তিনটি কার্গোতে থাকা ভেজাল মেশানো ৪ হাজার বস্তা সার জব্দ ও গুদাম সিলগালা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরাফাতুল আলম বলেন, সাউথ ডেল্টা নামক এজেন্ট প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘন করে ভালো সারের সঙ্গে নিম্নমানের সার মেশাচ্ছিলো। এ অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে জব্দকৃত সার পরীক্ষার জন্য নগরীর দৌলতপুরস্থ মৃত্তিকা গবেষণা ইনস্টিটিউটের ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে এ ধরনের ভেজাল মিশ্রিত সার ব্যবহার করে চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।