কেশবপুর প্রতিনিধি: কেশবপুরে পরকীয়ার জের ধরে ১৪ মার্চ বুধবার সকালে কপোত-কপোতি আটক করেছে পুলিশ। অটককৃতরা হলেন, খুলনার পাইকগাছা উপজেলার মঠবাড়িয়া গ্রামের জগদীশ দেবনাথের ছেলে অমিত দেবনাথ(২৫) এবং জয়পুর হাট জেলার পাচবিবি থানার সাতআনা গ্রামের আজিবর রহমানের কন্যা শাপলা খাতুন (২০)। অমিত দেবনাথ চার বছর আগে নিজের কাকিমা তপতীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিবাহ করে। বর্তমানে তারা স্বামী স্ত্রী দুজনেই ঢাকায় গার্মেন্টেসে চাকরী করে।
এব্যাপারে তপতী রানী দেবনাথ(২০) জানায়, চার বছর আগে পাইকগাছা উপজেলার মঠবাড়িয়া গ্রামের বিষ্ণুদেব নাথের ছেলে গোবিন্দ দেবনাথে সাথে বিবাহ হয়। এরপর গোবিন্দ দেবনাথের আপন ভাইপো অমিত দেবনাথ বিভিন্ন সময় প্রস্তাব দিলে একসময় তার সাথে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে অমিত দেবনাথ তপতীকে নিয়ে বিবাহ করে ঢাকায় চলে যায়। পরে তাদের একটি পুত্র সন্তান হয় তার বয়স ২ বছর। তারা স্বামী স্ত্রী দুজনেই গার্মেন্টেসে চাকরী করে। সম্প্রতি কিছু দিন আগে তপতী জানতে পারে জয়পুর হাট জেলার পাচবিবি থানার সাতআনা গ্রামের আজিবর রহমানের কন্যা শাপলা(২০) একই গার্মেন্টেসে চাকরী করা গালীন দুজনের ভিতরে পরকীয়ার জন্ম হয়। তারই জের ধরে গত চার দিন আগে অমিত শাপলা খাতুন কে নিয়ে তার গ্রামের বাড়ীতে আসে। খবর পেয়ে তপতী ঢাকা থেকে পাইকগাছার আসার পথে কেশবপুর এলাকায় পৌছালে খবর পায় তারা ঢাকায় ফিরে যাচ্ছে। এসময় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পরিবহন থেকে তাদের নামিয়ে কেশবপুর থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করে। এব্যাপারে তপতী বাদী হয়ে একটি লিখিত এজাহার দাখিল করেছেন। পুলিশ তাদের কাছে বিবাহের তথ্য প্রমান চাইলে তারা দেখাতে পারেনি।
কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সৈয়দ আবদুল্লাহ জানান, পুলিশ খবর পেয়ে কেশবপুর বাসষ্ট্যান্ড থেকে স্থানীয় জনগনের সহায়তায় তাদের আটক করেছে। তপতী রানী দেবনাথ বাদী হয়ে একটি এজাহার দাখিল করেছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।