পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি : পাইকগাছায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে যুবলীগনেতার ভোগদখলে থাকা চিংড়ি ঘের জবর দখল, হামলা, ভাংচুর ও ঘেরের বাঁধ কেটে ক্ষতিসাধন করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় যুবলীগনেতা জিএম আলমগীর হোসেন টুকু বাদী হয়ে বিএনপি নেতা আইয়ুব আলী মোল্লা সহ ১৯ জনকে আসামী করে থানায় মামলা করেছে। পুলিশ বিএনপি নেতা আইয়ুব মোল্লা সহ ২ আসামীকে আটক করেছে।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানাগেছে, পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড বাতিখালী গ্রামের জিএম শওকত হোসেনের ছেলে যুবলীগনেতা জিএম আলমগীর হোসেন টুকু ২০০৬ সাল হতে লস্কর মৌজায় পৈত্রিক ও ডিড লীজ সূত্রে প্রায় ২০ বিঘা জমিতে চিংড়ি চাষ করে আসছে। এদিকে টুকুর পাশের ঘের মালিক পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড বাতিখালী গ্রামের মৃত রেয়াজ উদ্দীন মোল্লার ছেলে আইয়ুব আলী মোল্লা টুকুর ভোগদখলে থাকা চিংড়ি ঘের জবর দখলের পায়তারা করে। এক পর্যায়ে জবর দখলের হুমকি দিলে সংঘাত সংঘর্ষ এড়াতে থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব গত সোমবার উভয় পক্ষকে তলব করে বিষয়টি মিমাংশা করার জন্য উকিল কমিশন গঠন করে দেন। উকিল কমিশনের প্রধান এ্যাডঃ এফএমএ রাজ্জাক মঙ্গলবার উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। এ সময় উভয়পক্ষ উভয়ের ঘেরের মধ্যে ৪-৫ বিঘা জমি রয়েছে দাবী করলে উকিল কমিশন সরেজমিন গিয়ে সার্ভেয়ার দিয়ে মেপে বিষয়টি নিরসনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এদিকে থানা পুলিশ ও উকিল কমিশনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে আইয়ুব মোল্লা ও তার লোকজন বৃহস্পতিবার রাতে টুকুর ভোগদখলে থাকা চিংড়ি ঘেরে হামলা চালায়। এ সময় ঘেরের লোকজনকে মারপিট করে গুরুতর আহত সহ ঘেরের বাসা ভাংচুর ও বাঁধ কেটে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। এ ঘটনায় আলমগীর হোসেন টুকু বাদী হয়ে আইয়ুব আলী মোল্লা সহ ১৯ জনকে আসামী করে থানায় মামলা করে। যার নং- ১৩, তাং- ১৫/০৩/১৮ইং। ঘটনার পরের দিন শুক্রবার সকালে আইয়ুব আলী মোল্লা ও তার লোকজন পুনরায় টুকুর চিংড়ি ঘের জবর দখল করার চেষ্টা করলে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মামলার ১৭ নং আসামী লস্কর গ্রামের ফুলমিয়া গাজীর ছেলে মতলেব গাজী (৩৮) কে আটক করে। এরপর আইয়ুব মোল্লার সমর্থিত বিভিন্ন নেতাকর্মীরা ঘের দখলে সহায়তা করার জন্য থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে অবৈধ সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব পাঠাইলে এতে ওসি ক্ষিপ্ত হয়ে রোববার রাতে মামলার প্রধান আসামী বিএনপি নেতা আইয়ুব মোল্লাকে আটক করে। আটক ২ আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব জানিয়েছেন।