খুলনা : নেপাল বিমান দুর্ঘটনায় নিহত অবশিষ্ট তিন বাংলাদেশির লাশও শনাক্ত করা হয়েছে। কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ আল আলামুল ইমাম জানান, বুধবার দুপুরের দিকে কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তিন বাংলাদেশির পরিচয় শনাক্তের কথা জানিয়েছে। এই তিনজন হলেন- খুলনা বিএল কলেজে মাস্টার্সের ছাত্র ও ঠিকাদার আলিফুজ্জামান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিল্প ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ও গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের ছাত্র পিয়াস রায়।
এদিকে নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত আলিফুজ্জামান আলিফের মরদেহ আজ বৃহস্পতিবার বিকালে তার মরদেহ ঢাকা আসছে। বিকাল সাড়ে ৩টায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আলিফের ছোট ভাই ইয়াসিন আরাফাত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বুধবার বিকালে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স থেকে ফোনে আমাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
ইয়াসিন আরাফাত আরও জানান, আলিফের মরদেহ বিমান বন্দর থেকে তিনি ও তার বড় ভাই আশিকুর রহমান হামিম গ্রহণ করবেন। তিনি ঢাকাতেই আছেন। বড় ভাই হামিম খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেছেন। দুই ভাই মিলে মরদেহ গ্রহণ করে মাওয়া হয়ে খুলনার উদ্দেশে যাত্রা করবেন। মরদেহ নিয়ে খুলনার রূপসার আইচগাতিতে পৌঁছাতে গভীর রাত হতে পারে। এ অবস্থায় শুক্রবার সকালে কিংবা বাদ জুম্মা জানাজা শেষে আলিফের মরদেহ দাফন করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ নেপালের কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্তে নিহত ২৬ জনের মধ্যে আলিফও রয়েছেন। তার বাড়ি খুলনার রূপসা উপজেলার আইচগাতি গ্রামে। খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রনেতা ও বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি আলিফ তিন ভাইয়ের মধ্যে মেজ। তিনি বেলফুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং খুলনার আহসান উল্লাহ কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ২০০৭ সালে আলিফ কাজের সন্ধানে সৌদি আরবে যান। ২০১০ সালে দেশে ফিরে তিনি খুলনা সিটি কলেজে ভর্তি হয়ে ডিগ্রি পরীক্ষা দেন। খুলনার বিএল কলেজ থেকে এ বছর মাস্টার্স পরীক্ষা দিচ্ছিলেন তিনি। তার কয়েকটি পরীক্ষা বাকি ছিল। ১০ দিনের বিরতি থাকায় তিনি নেপালে ঘুরতে যাচ্ছিলেন।