ডুমুরিয়ায় গ্রামবাসীর জমি অবৈধ দখল নিয়ে ইটভাটা নির্মাণ

প্রকাশঃ ২০১৮-০৪-২৫ - ২২:০৪

ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি : খুলনার ডুমুরিয়ায় গ্রামবাসীর জমি দখল নিয়ে অবৈধ ইট ভাটা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। ওই জমির হারি (ভাড়া) চাওয়ার অপরাধে প্রকৃত জমির মালিক ৩ জনকে পুলিশ আটক করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল দুপুরে উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের কুলবাড়ীয়া গ্রাম এলাকায়।
জানা গেছে, উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের কুলবাড়িয়া গ্রাম এলাকায় গতকাল বুধবার দুপুরে গ্রামবাসী তাদের জমির হারি (ভাড়া) না পেয়ে তাদের জমির সীমানা নির্ধারণ করতে ‘মেসার্স এ কে বি ব্রিকস্’ ফিল্ডে যান। এ সময় ডুমুরিয়া থানা পুলিশ জমির মালিক আজিজুর গাজী (৫০) হাফিজুর গাৃজী (৪৫) আব্বাস আলী শেখকে (৫০) আটক করে থানায় আনা হয়। খবর লেখা পর্যান্ত কথিত ইট ভাটা মালিক সিরাজ খান থানায় অবস্থান করছিলেন।
একাধিক সূত্র জানায়, ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া গ্রামের জিএম আক্তারুউজ্জামান (টুটুল) ২০১২ সালে এলাকার বিভিন্ন জনের নিকট থেকে ৩০ বিঘা জমি ভাড়া নিয়ে উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রাম এলাকায় গ্যাংরাইল নদীর চরে ‘মেসার্স একেবি ব্রিকস্’ গড়ে তোলে। সে থেকে ইট ভাটা পরিচালনার ক্ষেত্রে সকল সরকারি নিয়মকানুন ঠিকঠাক ছিলো বলে জানা যায়। ঘটা করে ২০১৪ সালে ওই ইট ভাটায় শেয়ার বনে যান সিরাজ খান নামে জনৈক ব্যক্তি। পবর্তীতে কৌশলে ওই ভাটার প্রকৃত মালিক জিএম আক্তারুউজ্জানকে ভাটা থেকে নামিয়ে দেয়া হয়। এরপর সিরাজ খান থেকে ওই ভাটার একক মালিক বনে যান সিরাজ খান। তবে ভাট পরিচালনার ক্ষেত্রে যাবতীয় কাগজ পত্র রয়ে গেছে পূর্বের মালিকের নামে। বর্তমান সিরাজ খানের বৈধ কোনো কাগজ পত্র দেখানে পারিনি। তবে ওই ভাটার নাম পরিবর্তণ করে ‘মেসার্স এসকেবি ব্রিকস্’ নাম করণ করা হয়েছে। গত ২০১৪ সাল থেকে সিরাজ খান স্থানীয় গ্রামবাসী জমির মালিকদের জমির হারি (ভাড়া) না দিয়ে বরং তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, চাঁদাবাজী, জাল টাকা ও চুরি’র অভিযোগ এনে এ যাবৎ ১০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া একের পর এক গ্রামবাসীর উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
‘মেসার্স একেবি ব্রিকস্’ এর মালিক জিএম আক্তারুউজ্জামান জানান, ভাটার মালিকানা তার। সিরাজ খানের কোনো বৈধতা নেই। সিরাজ শুধু পুলিশের নাম ব্যবহার করে ভাটা মালিক হতে চায়। তাছাড়া পুলিশ ও ডিবি তার কথায় ওঠে বসে এমনও প্রচার এলাকায় বেশ জনশ্রুতি হয়ে উঠেছে। তার প্রমাণ গতকাল বুধবার।
এ ব্যপারে কথিত ইট ভাটা মালিক সিরাজ খান বলেন, তিনি জিএম আক্তার উজ্জামানের নিকট থেকে ভাটাটি কিনে নিয়েছেন। জমির মালিকদের হারি (ভাড়া) বেশ কয়েক জনকে দিয়েছেন আর কয়েক জনকে টাকা নিতে বলছি তারা টাকা নিচ্ছে না। আর নিজের নামে ভাটার নাম করণে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কাগজ পত্র জমা দেয়া হয়েছে।
ডুমুরিয়া থানার ওসি মোঃ হাবিল হোসেন জানান, ভাটা থেকে ৩ জনকে থানায় আনা হয়েছে। তার মধ্যে আব্বাস আলী জামায়াতে নাশকতা মামলার আসামী। বাকি ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।