জলমা তহসিলদারের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশঃ ২০১৮-১০-০১ - ১৮:০৩

স্টাফ রিপোর্টার : গত শনিবার ‘জলমা তহসিলদারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ’ শীর্ষক শিরোনামে দৈনিক প্রবাহে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর বটিয়াঘাটা ইউনিয়ন ভূমি (জলমা তহসিল) অফিসের উপ-সহকারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোঃ জালাল হোসেন দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। ইতোমধ্যেই তিনি বিভিন্ন দপ্তরে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ওই অফিসের আয়া ও তার কলেজ পড়–য়া কন্যাকে নানা প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ সম্পর্ক করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। এমন অভিযোগ এনে গত ২৪ সেপ্টেম্বর খুলনা জেলাপ্রশাসক বরাবর ভুক্তভোগী আয়া শান্তি মল্লিক লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়া তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী অভিযোগ দায়েরের সত্যতা স্বীকার করেন। অভিযোগ পাওয়ার তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থার নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রোববার বটিয়াঘাটা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, উল্লিখিত তহসিলদারের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য কোনো চিঠি এখনো আমার হাতে এসে পৌঁছায়নি। চিঠি পেলেই তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে।
বটিয়াঘাটা উপজেলার ৮নং ওয়ার্ড জলমা ইউনিয়ন পরিষদের পুলিশিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক গৌরপদ মল্লিক এ প্রতিবেদককে বলেন, অভিযুক্ত তহসিলদার মোঃ জালাল হোসেনের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যদি পদক্ষেপ নিতে কালক্ষেপণ করে তাহলে ওই তহসিলদারের বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দারা বিচারের দাবিতে মানববন্ধন পালন করবে। আগামী ২-১ দিনের এই মানববন্ধন পালনসহ সবাই মিলে ডিসির কাছে স্মারকলিপি প্রদানের উদ্যোগ নেবো।
উল্লেখ্য, ২৪ সেপ্টেম্বর জেলাপ্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগে ওই অফিসের আয়া শান্তি মল্লিক উল্লেখ করেন, তহসিল অফিস নির্মাণের জন্য তার শ্বশুর জমি দান করেন। সেই সুবাদে তিনি ওখানে আয়া পদে চাকরিরত আছেন। বটিয়াঘাটা ইউনিয়ন ভূমি (জলমা তহসিল) অফিসে উপ-সহকারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোঃ জালাল হোসেন বিভিন্ন সময়ে আয়া শান্তি মল্লিক ও তার ১৯ বছর বয়সের কন্যাকে নানা প্রকার প্রলোভনে ভুলিয়ে তার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছিল।
উপ-সহকারী নায়েবের এই কুপ্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তিনি উক্ত আয়া ও তার কন্যার ওপর রাগান্বিত হয় এবং ওই অফিসে চাকরি করতে দিবেন না মর্মে হুমকি দেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার তারই ধারাবাহিকতায় বেলা আনুমানিক ৩টার সময় পূর্ব শত্রুতার আক্রোশে আয়া শান্তিকে গলাধাক্কা দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেন।