তাপস কুমার বিশ্বাসঃ ফুলতলার আওয়ামীলীগ অফিসে বোমা বর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ ঘটনায় ফুলতলা থানায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। মামলায় জামায়াত ও বিএনপির ৯২ জন এজাহার নামীয়সহ অজ্ঞাতদের আসামী করা হয়। পুলিশ খুলনা জেলা জামায়াতের আমীরসহ ১২ব্যক্তিকে আটক করে শনিবার সন্ধ্যায় জেল হাজতে প্রেরণ করে।
শুক্রবার রাতে বেজেরডাঙ্গা বাজারস্থ ফুলতলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের পূর্বপাশের দেয়ালে অজ্ঞাত দুর্বত্তরা বোমার বিষ্ফোরণ ঘটায়। তবে কার্যালয়ের ভিতরে অবস্থানরত কোন নেতাকর্মী হতাহত হয়নি। এ ব্যাপারে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলী আযম মোহন বাদী হয়ে ফুলতলা থানায় মামলা (নং- ১৩, ১৫/১২/২০১৮ইং) দায়ের করেন। মামলায় ৪৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের আসামী করা হয়। পুলিশ ৪ ব্যক্তিকে আটক করে শনিবার সন্ধ্যায় জেল হাজতে প্রেরণ করে। আটককৃতরা হলো জেলা জামায়াতের আমীর মাও. ইমরান হুসাইন (৬০), বুড়িয়ার ডাঙ্গা গ্রামের শেখ আকরাম হোসেন (৪২), পায়গ্রাম কসবা গ্রামের কাজী আকতার মাহমুদ (৪২), ঢাকুরিয়া গ্রামের জর্জিস মোড়ল (৪২)। এদিকে রাত পৌনে ৯টায় দামোদর ইউনিয়নের ৪নং গাড়াখোলা ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ কার্যালয় লক্ষ্য করে বোমা বিষ্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ব্যাপারে ঐ ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ আঃ জলিল বাদী হয়ে দুটি মামলা (নং-১১ ও ১২, তারিখ ১৫/১২/২০১৮ইং) দায়ের করেন। মামলায় ৪৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের আসামী করা হয়। পুলিশ ৮ জনকে আটক দেখিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় জেল হাজতে প্রেরণ করে। আটককৃতরা হলো ডাউকোনা গ্রামের এসএম সোহেল (৩৮), ছাতিয়ানী গ্রামের হাবিবুর রহমান (২৮), জামিরা গ্রামের হুমায়ুন কবির মোল্যা (৪৮), গাড়াখোলা গ্রামের আক্তার হোসেন (৪৭), চেচুড়ি গ্রামের কামাল সরদার (৪২), দামোদর গ্রামের ফিরোজ জমাদ্দার (৬০), ধোপাখোলা গ্রামের মোঃ মিজানুর রহমান (৪৭), দামোদর গ্রামের আনিছুজ্জামান রনি (৩৫)।