সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : দেশজুড়ে আলোচিত খুলনার বৃক্ষমানব আবুল বাজনদার ও সাতক্ষীরার মুক্তামনির পর আশাশুনি উপজেলায় এবার সন্ধান মিললো বিরল রোগে আক্রান্ত হত দরিদ্র ভ্যান চালক পিন্টু গাজীর।
এ রোগের নাম জানা না থাকায় এ রোগীকে বিরল রোগে আক্রান্ত রোগী বলে চিহ্নিত করছেন স্থানীয় চিকিৎসকরা। তবে উন্নত চিকিৎসায় এ রোগ নিরাময় করা সম্ভব বলে দাবি চিকিৎসকদের।
ভ্যান চালক পিন্টু গাজী আশাশুনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের শ্রীকলস গ্রামের হত দরিদ্র মুজিবর গাজী ছেলে। শ্রীকলস এলাকার সরকারি গুচ্ছ গ্রামের অসহায় পরিবারের সন্তান পিন্টু গাজী ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করলেও দিনে দিনে অক্টোপাশের ন্যায়ে এ বিরল রোগ তাকে একটু একটু করে গ্রাস করছে। দিনে দিনে আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন ভ্যান চালক পিন্টু গাজী। পিন্টুর সংসারে রয়েছে বৃদ্ধ পিতা-মাতা, স্ত্রী ও এক স্কুল পড়ুয়া ছেলে সন্তান।
সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী পিন্টু অসুস্থ হয়ে পড়ার সাথে সাথে যেন তার পরিবারও অসুস্থ হয়ে পরেছে। একমাত্র ছেলেরও লেখা-পড়া বন্ধ হবার পথে।
স্থানীয় চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার কথা জানালেও তা যেন পিন্টু বা তার পরিবারের কাছে সেটা আকাশ কুসুম কল্পনা। যেখানে দু’বেলা দু’মুঠো ভাত জোগাতেই হিমসিম খাচ্ছে পুরো পরিবার, সেখানে উন্নত চিকিৎসা গ্রহণ করা তাদের কাছে অসম্ভব বলে জানান তারা।
এ বিরল রোগের চিকিৎসার ব্যাপারে আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অরুণ কুমার ব্যানার্জী জানান, এ জাতীয় চিকিৎসা আমাদের এখানে নেই, এটা ঢাকা মেডিকেল কলেজের ডা.শামন্ত লাল সেন স্যারকে দেখালে এর সমাধান হতে পারে।
তার চিকিৎসা সাহায্যের বিষয়ে জানতে চাইলে আশাশুনি উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা সুমনা শারমিন বলেন, এ ধরণের বিরল রোগের জন্য আমাদের ততবেশী ফান্ড নেই। তবে সমাজ সেবা অধিদপ্তর ও সমাজ কল্যাণ পরিষদ থেকে তার চিকিৎসার জন্য সর্বত্বক চেষ্টা করবে।
আশাশুনি সদর ইউনিয়নের শ্রীকলস গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহিনুর রহমান বলেন, পিন্টু গাজীর পরিবার গুচ্ছ গ্রামে বসবাস করে ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। উন্নত চিকিৎসায় এ রোগ থেকে সে যেন মুক্তি পেতে পারে তার জন্য তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।
অন্যদিকে বিরল রোগে আক্রান্ত ভ্যান চালক পিন্টু গাজী বলেন, সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে এ পৃথিবীতে জীবন যাপন করতে তার দেহের উন্নত চিকিৎসার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।