দাকোপে শত শত একর ফসলী জমিতে আবার চিংড়ী চাষ!

প্রকাশঃ ২০১৯-০৯-২১ - ১৯:৩২

গোলাম মোস্তফা খান, দাকোপ : ।টানা ২৪/২৫ বছর ওয়াপদা ভেড়ীবাঁধের ভিতর ওয়াপদা কেটে লবন পানি তুলে চিংড়ী চাষ করায় দাকোপসহ দক্ষিনাঞ্চলের বেশ কয়েকটি উপকুলীয় উপজেলায় গাছপালাহীন,গবাদী পশুহীন,ফসলহীন হয়ে পরিবেশের বিরাট ক্ষতি দেখা দেয়।অল্প জমির মালিক দিনে দিনে গরীব থেকে আরও গরীব হতে থাকে আর এলাকার ঘের করা প্রভাবশালী কিছু লোকের দিনে দিনে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয় ।রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক হতে থাকে। এ অবস্থা থেকে অল্প জমির মালিক তথা গরীব শ্রেনীদের বাঁচাতে লবন পানি প্রতিরোধ কমিটি,নাগরিক কমিটি সহ বিভিন্ন কমিিটর ব্যানারে কেন্দ্রীয় কিছু এনজিও নেতা নেএীদের সহায়তায় আন্দোলনের মাধ্যমে এবং মামলা করে পক্ষে রায় নিয়ে লবন পানি তোলা বন্ধ করা হয় ।আর ওই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন সাবেক এমপি ননী গোপাল মন্ডল,সাবেক মেয়র ড. অচিন্ত্য কুমার মন্ডল,সাবেক ছাএনতো গোলাম মোস্তফা খান,সাবেক চেয়ারম্যান সনজয় মোড়ল,গেšরাঙ্গ প্রসাদ রায়,এস,এ রশিদ,এ্যাড.রুহুল আমিন সহ বিভিন্ন প্রগতিশীল দল ও মতের চিন্তা চেতনার নেতারা।গত কয়েক বছর লবন পানিতে চিংড়ী চাষ বন্ধ থাকায় গোটা দাকোপের চিএ পাল্টে গেছে,মাঠে মাঠে গ্রামের পর গ্রাম সবুজের সমারোহ আর মাঠে ও বাড়িতে গবাদী পশু হাস,মুরগীতে ভরপুর,খাবার দুধের কোন অভাব নেই অথচ ৬/৭ বছর আগে খারার বা মিষ্টান্ন বানাতে সুদুর তালা,ডুমুরিয়া,সাতক্ষীরা থেকে দুধ আনতে হতো ব্যবসায়ীদের।এত আন্দোলন সংগ্রামের পরিবেশ বা ফসল আবারও নষ্ট করতে শুরু করছে দাকোপের তিলডাংগা ইউনিয়নের কতিপয় চিহ্নিত ঘেরমালিক,বেশ কয়েকটি ঘের করে কোটি কোটি টাকার লাভ করায় কোন ভাবেই এ লোভ সামলাতে পারছে না। এ বিষয় এলাকার শিক্ষক ও যুবলীগ নেতা তন্ময় সরকার,প্রধান শিক্ষক সেলিম রেজা ও জাতীয় পার্টির সভাপতি নারায়ন চন্দ্র সরকার বলেন তিলডাংগার ৬ নং গেট সংলগ্ন কাটাখালী খালটি সাবেক চেয়ারম্যান জালালউদ্দিন গাজী ও তার বাহিনী বাঁধ দিয়ে পানি সরবরাহ বন্ধ করে প্রায় ২৫/২৬ শ বিঘা জমির জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করে ঘের করে ধান চাষের মারাত্তক ক্ষতি করায় এলাকার হাজার হাজার পরিবার বর্তমানে চরম ক্ষুব্ধ,বিষয়টি প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের জানানোর পরও কোন কাজ হয়নি,তোয়াক্কা করেনি বলে জানান। ঘেরমালিক সাবেক চেয়ারম্যান জালালউদ্দিন গাজী বলেন আমি আমার জমিতে বাঁধ দিয়ে ঘের করছি আর কাটাখালি খালে বাঁধ দেই নাই,প্রতিপক্ষরা যে খালের কথা বলে ম্যাপে সেখানে কোন খাল নাই, দাকোপ ইউএনও সাহেব এসে তদন্ত করে গেছেন ।