এস আর সাঈদ, কেশবপুর (যশোর) : যশোরের কেশবপুরে নারী পাচারকারী মহির উদ্দীনের হাত থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন দুই নারী।
কেশবপুর থানা ও যশোর পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, মণিরামপুর উপজেলার হাজারাকাটি গ্রামের এলাহি বক্স ওরফে বাচার ছেলে মহির উদ্দীন, তার ভাই কামাল হোসেন, খলিলুর রহমান ও একই গ্রামের মরশেদ দফাদারের ছেলে তৌহিদ দফাদার, রোজওয়ান দফাদারের ছেলে হারুন দফাদারের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ নারী পাচারকারী কবলে পড়ে ২ নারী ভারতের পতিতালয়ে থেকে পালিয়ে এসে দারুন হুমকীর মুখে পড়েছে। তারা পাচারকারীদের হাত থেকে বাচতে কেশবপুর উপজেলার চাঁদড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী ফেরদৌসি বেগম ও একই এলাকার রুবেল মোড়লের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম উক্ত নারী পাচারকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে উল্লেখিত ৫ জনকে আসামী করে যশোর পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করেছেন, উক্ত আসামীরা অত্যান্ত ভয়ঙ্কর নারী পাচারকারী দলের সক্রিয় সদস্য। এদের কাজ হলো এলাকা থেকে বিভিন্ন বয়সি নারীদের প্রলোভোন দেখিয়ে সুকৌশলে ভারতে নিয়ে অণেতিক কাজ করান। এরা সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। মহির উদ্দীনের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালে কেশবপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রয়েছে। যার নং ১০, তারিখ ০৬-০৩-২০০৬। যার পিটিশন নং ৫২/২০০৬। উক্ত মামলার চার্জসীট দাখিল করা হয়। অভিযোগ পত্র নং ৫৯। মহির উদ্দীনের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পারছে না। তার কারণ মহির উদ্দীনের প্রচুর অবৈধ অর্থ রয়েছে।
ফেরদৌসি বেগম ও আঞ্জুয়ারা বেগম অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, আসামীরা বিগত ৬/৭ মাস পূর্বে ফেরদৌসি বেগম ও আঞ্জুয়ারা বেগমকে ভালো বেতনের চাকুরীর প্রলোভোন দেখিয়ে দালালের মাধ্যমে ভারতের বোম্বে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের ২ জনকে দিয়ে পতিতালয়ের ব্যবসার কাজে লগিয়ে দেয়। পরবর্তীতে উক্ত ২ নারী যে কোন ভাবে প্রাণ বাচিয়ে দেশে পালিয়ে আসে। আসামীরা পুনরায় ঐ ২ নারীকে আবার ভারতের বোম্বে পাচার করতে নানাভাবে হুমকী-খামকী দিচ্ছে। তাদের কথায় রাজি না হলে প্রাণ নাশের হুমকী পর্যন্ত দিয়েছে। আসামীদের হুমকীর মুখে ফেরদৌসি বেগম তার স্বামী নজরুল ইসলাম ও আঞ্জুয়ারা বেগমের স্বামী রুবেলকে জানায়। গত ০১-০৪-২০২০ তারিখে তারা বিষয়টি আসামীদের নিকট জানতে চাইলে আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে নারী পাচারকারী মহির উদ্দীনের নেতৃত্বে তাদের উপর হামলা চালায়। হামলায় নজরুল ইসলাম, তারছেলে বাবুল আক্তার ও রুবেল আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় নজরুল ইসলামের স্ত্রী ফেরদৌসি বেগম ১৩ জনকে আসামী করে কেশবপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। বর্তমানে বাদির পরিবার চরম আতংকের মধ্যে দিনপাত করছে।
এব্যাপারে মহির উদ্দীন সাংবাদিকদের জানান, আমি আদৌ নারী পাচারের সাথে জড়িত নই। একটি কুচক্রী মহল আমাদের সামাজিক মর্যদা ক্ষুন্ন করার জন্য ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা অভিযোগ করেছে।