খুলনা অফিস : করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চিকিৎসাসেবায় জড়িত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সবার আগে সুরক্ষিত রাখতে হবে। চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিতরা যেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত না হন সেদিকে সর্বাগ্রে নজর দিতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মোঃ কামাল হোসেন আজ (মঙ্গলবার) সকালে খুলনা সার্কিট হাউজে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় খুলনা জেলা কমিটির সদস্য ও গণ্যমান্যদের সাথে মতবিনিময়কালে একথা বলেন। তিনি করোনাভাইরাস মোকাবেলায় খুলনা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিবও।
সচিব আরও বলেন, বিশ^জুড়ে এই ক্রান্তিকালে বেতার-টিভি খুললেই শুধু ভীতিকর খবর শোনা যায়। এসকল খবর শুনে ও দেখে জনসাধারণ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। এ ধরণের খবর পরিহার করে জনমনে সাহস যোগানোর মতো সংবাদ প্রচার হলে জনগণ আশ^স্ত হবে এবং তা দেখে অন্যরাও অনুকরণ করবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোঃ কামাল হোসেন খুলনা জেলার ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনাসহ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গৃহিত পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আমাদেরকে ভবিষ্যতের কথা ভেবে এখনই পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। এর ফলে যে কোন কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সহজ হবে। রোজা এবং ঈদকে সামনে রেখে কিছু অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে সচল করতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্বাস্থ্যবিধিগুলো অনুসরণ করা এবং কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থাকে জোরদার করতে পারলে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
সভায় জানানো হয়, খুলনা জেলায় এ পর্যন্ত নয় জন কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন মারা গেছেন এবং আট জনের অবস্থা সন্তোষজনক। খুলনায় আক্রান্ত সকলেই বাইরে থেকে আগত। খুলনায় প্রথম আক্রান্ত ব্যক্তি ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। খুলনায় ডায়বেটিক হাসপাতালটিকে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এখানে ১০টি বেড আইসিইউসহ ভেন্টিলেটার সুবিধা রয়েছে। চিকিৎসকদের জন্য যথেষ্ট পরিমান ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী মজুদ আছে।
সভায় আরও জানানো হয়, খুলনা জেলায় দুই লাখ ৮০ হাজার মানুষের (৭০ হাজার পরিবার) মধ্যে ৮৮ লাখ ৮ হাজার জিআর নগদ অর্থ বিরতণ করা হয়েছে। এছাড়া পাঁচ লাখ ৩৬ হাজার ৮০০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে ত্রাণ বিতরণের লক্ষ্যে তালিকা তৈরিতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ‘বেসরকারি মানবিক সহায়তা সেল’ নামে একটি অ্যাপ চালু করা হয়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে এখানে ত্রাণের জন্য আবেদন করা যাবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিভাগীয় কমিশনার ড. মু: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির, খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি লে. কর্নেল মির্জা, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল, প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানাসহ কমিটির সদস্যরা