যশোর : যশোর সদর উপজেলার ঝাউদিয়া গ্রামে রাস্তার ফেলানোর মাটি নেয়ার আমিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে বেধড়ক পিটিয়েছে স্থানীয় দুর্বৃত্ত্বরা। এসময় তার ছেলে শাহিন ঠেকাতে আসলে তাকেও মারপিট করা হয়েছে। মারপিট করে দৃর্বুত্ত্বরা তাদেরকে দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ একজনকে আটক করেছে। আহত আমিরুল ঝাউদিয়া গ্রামের মৃত. আব বক্কার বিশ্বাসের ছেলে। দায়েরকৃত মামলায় আসামিরা হলো, ঝাউদিয়া গ্রামের মৃত. ফজের আলীর ছেলে ইসলাম এবং মোফাজ্জেল হোসেন মোফা, ইসলামের ছেলে শামীম ও সবুজ, মৃত মুনসুরের ছেলে মশিয়ার, এবং ছেলে রুবেল, রঞ্জু এবং তার স্ত্রী কোহিনুর, জামির বিশ্বাসের ছেলে আতিয়ার, মিন্টু বিশ্বাসের স্ত্রী মিতা খাতুন, মোফাজ্জে হোসেন মোফার স্ত্রী শান্তনা খাতুন। পুলিশ ইসলামের ছেলে শামীমকে আটক করেছে। দায়েরকৃত এজাহারে আমিরুল ইসলাম বলেছেন, ঝাউদিয়া গ্রামের রাস্তায় সম্প্রতি ইট দেয়া হয়েছে। রাস্তার মাটি কেটে পাশে ফেলে দেয়া হলে ওই মাটি নিয়ে শনিবার দুপুরে তার দোকানের সামনে নিচু জায়গায় ভরাট করছিলেন। এসময় আসামি ইসলাম, রঞ্জুসহ কয়েকজন এসে আমিরুল ইসলামকে মারপিট করতে থাকে। সংবাদ শুনে তার ছেলে শাহিন ঠেকাতে আসলে তাকেও মারতে উদ্যত হয়। এরপর ইসলামের নেতৃত্বে অন্যান্য আসামিরা এসেই আমিরুলকে আরো মারপিট এবং কোদাল দিয়ে কোপাতে থাকে। শাহিন আসলে তাকেও মারপিট করে তাদের দোকানে ভাংচুর ও লুটপাট করে। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আমিরুল ইসলাম ও শাহিনকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। ডাক্তার শাহিনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয় আর আমিরুল ইসলামকে ভর্তি করে ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেয়। আমিরুল ইসলামের ব্যাপারে হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের ডাক্তার ইউনুস বলেছেন, তার অবস্থা আশংকামুক্ত। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার সকালে কোতয়ালি থানার পুলিশ শামীমকে পালবাড়ি এলাকা থেকে আটক করেছে বলে কোতয়ালি থানার ডিউটি অফিসার দেবাশিষ রায় নিশ্চিত করেছেন।