খুলনা : খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিপুল সংখ্যক চোরাই মোবাইলসহ দুইজনকে আটক করেছে। এছাড়া মোবাইল চোর সিন্ডিকেটের পলাতক ১৩ জনকে সনাক্ত করা হয়েছে। আটকরা হলেন মোছাঃ খাদিজা খাতুন (২০) ও মোঃ সাথি বেগম (২২)।
অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার, ডিবি, এ এম কামরুল ইসলাম পিপিএম জানান, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সিনিঃ সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি) ভাস্কর সাহা এর নেতৃত্বে পুলিশ পরিঃ কাজী মোস্তাক আহম্মদ পিপিএম, এসআই মোঃ এবাদ আলী, এসআ মোঃ বদরুজ্জামান এবং সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খালিশপুর থানাধীন বিআইডিসি রোডস্থ শাহী চটপটি নামক দোকানের সামনে অভিযান চালিয়ে আসামী দুইজনকে বিভিন্ন ব্রান্ডের ২১টি চোরাই মোবাইল ফোনসহ আটক করে। আটকদের মধ্যে খাদিজার বাড়ি মংলায় এবং সাথির বাড়ি রামপালে। তারা দুজনেই খুলনায় ভাড়া থাকেন।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, আসামীদ্বয় সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। এই সিন্ডিকেট চক্রের পলাতক সদস্যরা হলেন ধর্ম সভা মন্দিরের পিছনের স্ত্রী গীত (১৮), জেলখানা ঘাট নদীর ওপারের শিখা (১৮), রূপসা নদীর ওপারের ছোটকা (১৬), হাফিজা (২০), বড় বাজার ষ্টেশন এলাকার ইসলাম (১০), মহির বাড়ীর খালপাড় এলাকার বিথী (২০), শিতলা বাড়ীর ভিতরে মাদ্রাসার পার্শ্বে বস্তির তিন ভাই গফ্ফার (২০), রফিক (১৮), শফিক (১৫), সাত রাস্তার মোড় এলাকার মেন্টাল রুবেল (১৮), বিআইডব্লিউটিসি ঘাট এলাকার ফর্সা গামা (৩০), মর্জিনা (৩৫), চাঁনমারি বাজার এলাকার নূর মোহাম্মদ (৪৫)। এছাড়াও রয়েছে অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ জন।
ডিবি পুলিশ জানায়, আসামীরা মহানগরীর বিভিন্ন জনসমাগম পূর্ণ এলাকায় জনগণের পকেট কেঁটে মোবাইল সেট, টাকা-পয়সা সহ মূল্যবান সামগ্রী চুরি করে তাদের নিকট বিক্রি করতে দেয়। ইতোপূর্বেও তারা কতিপয় বিক্রয় ডট কমের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন স্থানে মূল্যবান সামগ্রী বিক্রি করেছে। সোমবার তারা উপরোক্ত আলামত খালিশপুরসহ খুলনা মহানগরী এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করার জন্য সমবেত হয়েছিল বলে স্বীকার করে। আসামীদ্বয়ের অপরাপর সহযোগী এবং পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। ধৃত ও পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে খালিশপুর থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
এছাড়াও আসামীরা দীর্ঘদিন ধরে ছোট ছোট শিশুদের ব্যবহার করে মানুষের বাসাবাড়ী, হাঁট-বাজার ও শহরের বিভিন্ন মার্কেটের ভিড়ের মাঝে মোবাইল চুরি করে থাকে। এই চুরির কাজে লাগানো ৭ শিশুকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কিশোর অপরাধ সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।