ঝিনাইদহে রোষানাল থেকে বাঁচতে গনবদলী!

প্রকাশঃ ২০১৭-০৬-০৫ - ১৮:২১

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খানের চরম দুর্ব্যবহার, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারমুখী আচরণ থেকে বাঁচতে সেচ্ছায় বদলী হয়ে অনত্র চলে যাচ্ছেন তার অধস্তন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ইতিমধ্যে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের ৯ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী বদলী হয়েছেন। বাকীরাও চেষ্টা তদ্বীর করছেন বদলী হওয়ার জন্য। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর বরাবর নির্বাহী প্রকৌশলীকে অপসারন করতে একটি অভিযোগও দেওয়া হয়েছে। তাতে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের ২৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী সাক্ষর করেছেন। অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খান কারণে অকারণে অধস্তন কর্মকর্তা কর্মচারীদের গালিগালাজসহ অশালীন ভাষায় দুর্ব্যবহার করেন।

ঝিনাইদহে যোগদান করার পর তিনি তার জীপ চালক, কয়েকজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীকে বিনা কারণে শোকজ করেন। তাদের এসিআর আটকে দেওয়ার হুমকী দেন। অতি সম্প্রতি উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নজরুল ইসলামকে ব্লাডি বাস্টার্ড বলে গালিগালাজ করেন। তিনি মনে দুঃখে ঝিনাইদহ থেকে বাগেরহাট জেলায় বদলী হয়েছেন। ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের একটি সুত্রে জানা গেছে, নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খানের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ থেকে বাঁচতে সহকারী প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন, আব্দুস সালাম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম, রহুল আমিন, বিভাগীয় হিসাব রক্ষক আইয়ূব আলী, জাকির হোসেন, সার্ভেয়ার প্রজিত হালদার ও এমএলএসএস রবিউল ইসলাম বদলী হয়েছেন।

গত দুই মাসের ব্যবধানে এ সব কর্মকর্তা কর্মচারী বদলী হন বলে জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঝিনাইদহ সওজের এক কর্মচারী বলেন, আমরা নির্যাতনকারী এই নির্বাহী প্রকৌশলীর বদলীর জন্য মসজিদে বসে আল্লাহ পাকের দরবারে প্রতিনিয়ত দোয়া করছি। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খান বলেন, এ নিয়ে আমি পরে কথা বলবো। বিষয়টি নিয়ে যশোর সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তত্বাবধায়ক প্রকৌশরী (এসি) সরুজ মিয়া বলে, যার বিরুদ্ধে অভিযােগ তার কাছেই সাংবাদিকদের শোনা ভাল। তিনি আরো জানান, ঝিনাইদহ অফিসের যে সব কর্মকর্তা কর্মচারী এই অভিযোগ দিয়েছেন তাদের সামনে রেখে আমার সাথে কথা বললে আমি জবাব দিতে পারবো।